শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল দুর্বৃত্তদের হামলা

8-673cd2af06d19.jpg

ডেস্ক রিপোর্ট: রাজধানীর উত্তরায় ১১ নম্বর সেক্টর শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুর্বৃত্তরা হামলা চালিয়েছে। এসময় হাসপাতালের ফার্মেসীতে ভাংচুর চালিয়ে নগদ ১০ লাখ টাকা ও হাসপাতালের ইলেক্ট্রিক ডিভাইস লুট করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

হাসপাতালটির প্রধান নির্বাহী (সিও) লেফটেন্যান্ট করলেন আবু নওরজ জি এম এডমিন সাদাফ আবরার সহ বেশকিছু কর্মকর্তা উপর হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এছাড়াও প্রধান নির্বাহী ও জি এম এডমিন এর কাছ থেকে জোরপূর্বক চাকরি থেকে অব্যাহতি নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের ১০ নম্বর সড়কে অবস্থিত শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। মঙ্গলবার দুপুর একটায় ৫০ থেকে ৬০ জন্য লোক হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করে লুট ও ভাংচুর চালিয়েছে বলে অভিযোগ।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় প্রশাসনিক ভবন সবগুলো রুম তালাবন্ধ। কেউ কোন ধরনের কথা বলতে রাজি না। সবার ভেতরে আতঙ্ক কাজ করছে। নিচে হাসপাতালের তারেক ফার্মেসীর গিয়ে দেখা যায় দরজা ও ক্যাশ কাউন্টার ভাঙচুরের চিহ্ন। নিয়ে গেছে সিসিটিভির ডিভাইস। ফার্মেসীর মালিক মোহাম্মদ পারভেজ দাবি করেন, তার ফার্মেসী থেকে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ লুট করা হয়েছে। কে বা কারা করেছেন তিনি তা জানেন না। তিনি এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেবেন বলে জানিয়েছেন।

জি এম এডমিন সাদাফ আবরার  বলেন, দুপুর একটা থেকে তিনটা পর্যন্ত ৫০ থেকে ৬০ জন্য হাসপাতালে ভেতরে অবস্থান করে। হাসপাতালে কর্মরত এইচ আর এডমিন গোলাম কিবরিয়া, ইঞ্জিনিয়ার শরীফ, ওয়ার্ড মাস্টার সাইফুল ইসলামকে ব্যাপক মারধর করে হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়।

এছাড়া হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী (সিও) লেফটেন্যান্ট করলেন আবু নওরজ স্যারকে তারা মারধর করতে থাকে সেখানে আমি বাঁধা দিলে তাড়া আমাকে মারধর করে একটি কাগজে আমাদের স্বাক্ষর রেখে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য করে। কারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের নাম পরিচয় পেয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডক্টর অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (ডেব) এর নেতা ড. মোসাদ্দেক হোসেন বিশ্বাস ও তার লোকজন গোলাম মাওলার নেতৃত্বে ২০০১ থেকে ২০০৫ সালের সাবেক ডাক্তার ও কর্মকর্তা-কর্মচারী হামলায় অংশ নেয়। তারা তাদের অপকর্ম ঢাকতে আমাদের হাসপাতালের সিসিটিভির ডিভাইস নিয়ে চলে যায়।

এবিষয় উত্তরা পশ্চিম থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হাফিজুর রহমান  বলেন, শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সমস্যার কথা শুনে দ্রুত সেখানে অবস্থান নেই। সেখানে যাওয়ার পর আমরা কাউকে পাইনি। হাসপাতালের লোকজনের সাথে কথা বলেছি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।

যার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ সে গোলাম মাওলা  বলেন, ৫ ই আগস্টের পর ফ্যাসিবাদ দূর হলেও শহীদ মনসুর আলী মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে ফ্যাসিবাদ দূর হয়নি। গত ১৫ বছর ধরে সাবেক মন্ত্রী নাসিম সাহেবের পরিবার লুটপাট করে প্রতিষ্ঠানটি ধ্বংস করে ফেলেছে। সেখানে সাবেক কর্মচারী কর্মকর্তা ও কিছু ছাত্র জনতা গিয়েছিল। আমাকে ফোন দিলে আমিও সেখানে যাই।

Share this post

scroll to top