ডেস্ক রিপোর্ট: সাভার ও আদাবর থানার ছাত্রজনতা হত্যা মামলার আসামী হাফেজ নুরকে আটক করে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় জনতা বাধা দিলে পরে নুরকে ছেড়ে দিয়ে থানায় ফিরে যায় পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯টায় সাভার হেমায়েতপুর জমজম সিটিতে। জম জম হাউজিং এর মালিক হাফেজ নুর মোহাম্মদকে পুলিশ আটক করতে গিয়ে জনতার বাধায় ফিরে আসতে বাধ্য হয়।
এ সময় পুলিশ সেনাবাহিনীর সহযোগিতা চেয়েছিল তবে তারা অন্য কাজে ব্যস্ত থাকায় পুলিশ সহযোগিতা পায়নি। সাভার মডেল থানার ওসি জুয়েল মিয়া রাত ১১টায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, হত্যা মামলার আসামিকে ধরতে গিয়েছিল সাভার হরিনধারা ট্যানারির হেমায়েতপুর ফাঁড়ির উপপরিদর্শক মো: সিরাজসহ কয়েকজন পুলিশ।
এর আগে রাত ৯ টার দিকে একই ফাঁড়ির এস আই আমির হোসেনসহ কয়েকজন পুলিশ বৈলাপুরের জম জম সিটিতে আসামিকে গ্রেফতার করতে গেলে জনতার বাধার মুখে পড়ে। খবর পেয়ে সাভার মডেল থানার ওসি অপারেশন হেলাল তার অপর্যাপ্ত ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থলে যান। কিন্তু টুপি পাঞ্জাবি পড়া শত শত লোক পুলিশকে অফিসে ঢুকতে বাধা দেয়। এ সময় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে পুলিশ এ সময় সেনাবাহিনীকে সহযোগিতার জন্য কল দেয়, কিন্তু সেনাবাহিনী অন্যকাজে ব্যস্ত থাকায় সময় মতো আসতে পারেনি।
এ সময় জম জম সিটির প্রায় ২ শতাধিক লোক জড়ো হয়ে পুলিশের নিকট থেকে আসামী নুর মোহম্মদকে তার অফিস কক্ষে পাহারা দিয়ে রাখে। পরে জম জম সিটির লোকজন পুলিশের সাথে কথা বলে তাদের বিদায় দেয়। পুলিশ যাওয়ার পর তার লোকজন হাফেজ নুর মোহম্মদকে পালাতে সহায়তা করে। রাত ১০ টার দিকে হাউজিং এর পিছন দিক দিয়ে তিনি পালিয়ে যান।
নুর মোহাম্মদ এর একাউন্ট ম্যানেজার মো কামরুজ্জামান জানান, সাভার মডেল থানার কয়েকজন অফিসার রাত সাড়ে ৯ টায় জম জম সিটির অফিসে প্রবেশ করে এবং নুর মোহাম্মদকে থানায় নিয়ে যাওয়ার জন্য আটক করলে তাদের হাউজিং এর লোকজন এতে বাধা দিলে পুলিশ ফিরে যায়।
জানা যায় সাবেক বনগাঁ ইউনিয়ন এর চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা সাইফুল ইসলাম এর খালাতো ভাই বলে পরিচিত হাফেজ নুর মোহাম্মদ এর বিরুদ্ধে ঢাকা আদাবর ও সাভার মডেল থানার দুইটি হত্যা মামলা রয়েছে। মামলা নং ৪ ও ১৭। এলাকাবাসীরা জানান, সাইফুল এর এস এ হাউজিং ও নুর মোহম্মদ এর জমজম হাউজিং এর বিরুদ্ধে জমি জমা দখল এর অভিযোগসহ উভয়ের বিরুদ্ধে গত জুলাই মাসে ছাত্র জনতা হত্যা মামলা রয়েছে।
সাভার থানার ওসি অপারেশন মে: হেলাল রাতে জানান, তিনি হেমায়েতপুর ট্যনারি ফাঁড়ির পুলিশকে সহযোগিতার জন্য সেখানে গিয়েছিলেন, কিন্তু অনেক লোকের হট্টগোল থাকায় তিনি তার ফোর্স নিয়ে থানায় ফিরে আসেন। এই অভিযানে গিয়ে জনতার বাধায় আসামিকে ছেড়ে ফিরে আসায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।