ডেস্ক রিপোর্ট: মঠবাড়িয়ায় জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলামকে কুপিয়ে পা বিচ্ছিন্ন করার মামলা পুনঃতদন্ত করছে পিবিআই। ভুক্তভোগী শফিকুল জানান, মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও বিভিন্ন জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন।
পা হারানো শফিকুল জানান, ২০২২ সালে মঠবাড়িয়া থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম বাদল তাকে অন্যায়ভাবে আটক করে ঘুষ চান। প্রতিবাদ করলে থানার দালাল সগির মেম্বারের প্ররোচনায় মিথ্যা মামলায় আমাকে জেলহাজতে পাঠান ওসি বাদল। এসব বিষয়ে ওই সময় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইজিপি ও বরিশাল ডিআইজির কাছে লিখিত অভিযোগ দিই। এতে ওসি বাদল ক্ষিপ্ত হয়ে ২০২২ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর আমাকে হুমকি দেন- সব অভিযোগ তুলে না নিলে কুপিয়ে আমার হাত-পা কেটে ফেলা হবে। এমনকি প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। দুই দিন পর একটি মামলায় হাজিরা দিতে আদালতের উদ্দেশে তিনি বের হন। সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মঠবাড়িয়া-তুষখালী সড়কের মাঝেরপুল ফরাজীর বাড়ির সামনে পৌঁছলে ওসি বাদলের ইন্ধনে সগির মেম্বারের নেতৃত্বে ৭-৮ জন চিহ্নিত সন্ত্রাসী আমার ওপর হামলা করে। কুপিয়ে তারা আমার বাঁ পা গোড়ালি থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। ডান হাতের রগ কেটে ফেলে এবং পেটের ভুঁড়ি বের করে ফেলে। এরপর ওসি বাদল আমার বৃদ্ধ মায়ের স্বাক্ষর নিয়ে ইচ্ছামতো মামলা করেন। চার্জশিট থেকে মামলার আসামি সগির মেম্বারকে বাদ দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া থানার তৎকালীন ওসি নূরুল ইসলাম বাদল নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পিরোজপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) এসআই পলাশ বলেন, আদালতে নির্দেশে তদন্ত শুরু করেছি।