ডেস্ক রিপোর্ট: ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবিএম মোকাম্মেল হক চৌধুরী, বগুড়া-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মো. নুরুল ইসলাম তালুকদার এবং ঢাকা-১৮ আসনের সাবেক এমপি মোহাম্মদ হাবিব হাসান, তার স্ত্রী শামিমা হাবিব, দুই সন্তান আবুর হাসান তানিম ও সনিয়া হাসান তন্নির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
এদিন দুদকের উপপরিচালক মো. মাসুদুর রহমান এবিএম মোকাম্মেল হক চৌধুরীর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এ বিষয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।
আবেদনে বলা হয়েছে, মোকাম্মেল হকের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির মাধ্যমে এস আলম গ্রুপের পরিবারের সদস্যদের অনুকূলে বেআইনিভাবে পাঁচ হাজার কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বাক্তি তার পদের অপব্যবহার করে ও রাজনৈতিক পরিচয়ের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে ও বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। তিনি ত্যাগ করতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তার বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক।
অপরদিকে, বগুড়া-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নুরুল ইসলাম তালুকদারের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক মো. মাসুদুর রহমান। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর এ বিষয়ে শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদনটি মঞ্জুর করেন।
ওই আবেদনে বলা হয়েছে, মো. নুরুল ইসলাম তালুকদার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির সাধ্যমে টিআর কাবিখাসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের সরকারি অর্থ আত্মসাতপূর্বক নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তার পদের অপব্যবহার করে ও রাজনৈতিক পরিচয়ের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে ও বিদেশে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করেছেন বলে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। বিশ্বস্ত সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য মতে, দেশের বর্তমান বাস্তবতায় মো. নুরুল ইসলাম তালুকদার দেশ ত্যাগ করতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তার বিদেশ গমন রহিত করা আবশ্যক।
অন্যদিকে, ঢাকা-১৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ হাবিব হাসান, তার স্ত্রী শামিমা হাবিব, দুই সন্তান আবুর হাসান তানিম ও সনিয়া হাসান তন্নির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের উপপরিচালক সিরাজুল হক।
আবেদন বলা হয়েছে, হাবিব হাসানের বিরুদ্ধে ভূমি দস্যুতা, পরিবহণ চাঁদাবাজি, পদ বাণিজ্য, ডোনেশনের নামে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাতপূর্বক বিদেশে অর্থ পাচার করে ছেলের নামে কানাডায় বাড়ি ক্রয়সহ নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। অভিযোগ অনুসন্ধানে মানলা রুজু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অনুসন্ধানের বিষয়টি রাষ্ট্রের স্বার্থে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে অতীব গুরুত্বপূর্ণ। তারা বিদেশে পলায়ন করতে পারেন বলে বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায়। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিতকরণ প্রয়োজন।