ডেস্ক রিপোর্ট: জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১ ভোটে পরাজিত ৫নং ওর্য়াডের (ইউপি) সদস্য পদপ্রার্থী আব্দুস সবুর পিন্টু (তালা প্রতীক) তিন বছর পর অবশেষে আদালতের রায়ে ১ ভোটে বিজয়ী হয়েছেন।
জানা গেছে, ২০২১ সালের ১১ নভেম্বর জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৫নং ওর্য়াডে ইউপি সদস্য পদে আব্দুস সবুর পিন্টু তালা ও মারুফ হাসান রনি ফুটবল প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ভোট শেষে সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং অফিসার ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী মারুফ হাসান রনিকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। এ নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী আব্দুস সবুর পিন্টু আপত্তির কারণে ৫ বার ভোট গণনায় ১ ভোটে ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী মারুফ হাসান রনিকেই বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তখন ১ ভোটে পরাজিত ঘোষণা করা প্রার্থী আব্দুস সবুর পিন্টু ওই ভোট কেন্দ্রের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে পরিকল্পিতভাবে তাকে পরাজিত করার অভিযোগ তুলেছিলেন।
এ ব্যাপারে ২০২১ সালের ১৫ ডিসেম্বর আব্দুস সবুর পিন্টু জেলা নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল আদালতে একটি মামলা করেন। গত ১৫ অক্টোবর জেলা নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালের (ইউনিয়ন পরিষদ) বিচারক ইফতেখার শাহরিয়ার বাদিপক্ষ আব্দুস সবুরকে ৩ ভোটে বিজয়ী ঘোষণা করে রায় দেন।
আদালতে পুনঃগণনায় তালা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুস সবুর পিন্টু ১ হাজার ১১৪ ভোট পেয়েছেন। অন্যদিকে ফুটবল প্রতীকের মারুফ হাসান রনি পেয়েছেন ১ হাজার ১১১ ভোট। ফলে আব্দুস সবুর ৩ ভোটে বিজয়ী হন।
এ বিষয়ে আব্দুস সবুর পিন্টু সাংবাদিকদের জানান, গত ২০২১ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলাম। কিন্তু পাঁচ বার গণনার পর আমাকে ১ ভোটে পরাজিত দেখানো হয়েছিল। তিনি দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। একই সঙ্গে দ্রুত সময়ের মধ্য আদালতের রায়কে আমলে নিয়ে নতুন গেজেটে ইউপি সদস্য হিসেবে তার নাম ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
অপরদিকে বর্তমান ইউপি সদস্য মারুফ হাসান রনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করব। ২০২১ সালের নির্বাচনে ভোট গণনার সময় ভোট সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে ভোট গণনা করে আমাকে এক ভোটে বিজয়ী ঘোষণা করেছিলেন। আমি প্রায় ৩ বছর ধরে ইউপি সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি।’
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফজলুল করিম বলেন, ২০২১ সালে তিলকপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পরাজিত সদস্য প্রার্থী আব্দুস সবুর আদালতে মামলা করেন। আদালতে পূর্ণ ভোট গণনায় পরাজিত আব্দুস সবুর পিন্টু ৪ ভোট বেশি পেয়েছেন। আদালতের রায়ের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে এখন সিদ্ধান্ত নেবেন নির্বাচন কমিশন।