‘ইমরান খান ইস্যুতে চাপের কাছে নতি স্বীকার করেছে অক্সফোর্ড’

9658-6710aba5c32ba.jpg

ডেস্ক রিপোর্ট: ইমরান খানকে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর পদে অযোগ্য ঘোষণা করায় বিশ্ববিদ্যালয়টির সমালোচনা করেছেন যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টের উচ্চ কক্ষ হাউস অব লর্ডসের সদস্য ও কনজারভেটিভ সদস্য টোরি পারের লর্ড ড্যানিয়েল হ্যানান। তিনি বলেছেন, ইমরান খানের চ্যান্সেলর পদের জন্য আবেদনের পর রাজনৈতিক চাপের কাছে হার মেনেছে অক্সফোর্ড।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) মধ্যপ্রাচ্য সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই-এর সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

লর্ড ড্যানিয়েল হ্যানান বলেন, আমি জানি তারা ইমরান খানের প্রতিপক্ষদের কাছ থেকে আইনগত এবং রাজনৈতিক উভয় ধরনের চাপের মুখোমুখি হয়েছে। কিন্তু এভাবে চাপের কাছে হেরে যাওয়া তাদের ওপর খারাপ প্রভাব ফেলবে।

সাবেক অক্সফোর্ডের ছাত্র ইমরান খান পাকিস্তানে জেলখানায় ১০ বছরের সাজা ভোগ করছেন। তাকে রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁস করার অভিযোগে দণ্ডিত করা হয়েছে।

সম্প্রতি একটি জাতিসংঘের রিপোর্টে বলা হয়েছে, তার আটক রাখা বেআইনি এবং আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থি।

পাকিস্তানের কর্তৃপক্ষ ইমরান খানের পরিবার ও আইনজীবীদের তার সঙ্গে দেখা বন্ধ করে দিয়েছে।

বুধবার সকালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় চ্যান্সেলর পদের জন্য অনুমোদিত ৩৮ প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে, যার মধ্যে ইতিহাসে অলিভার ক্রমওয়েল এবং সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হারল্ড ম্যাকমিলান এর মতো ব্যক্তিত্বদের নাম অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়েছে, আবেদনপত্রগুলো চারটি অযোগ্যতার মানদণ্ড অনুযায়ী বিবেচনা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে এমন ব্যক্তিদের অযোগ্য ঘোষণা করা হয়, যাদের যুক্তরাজ্যের কর কর্তৃপক্ষ যোগ্য ও উপযুক্ত ব্যক্তি বলে বিবেচনা করে না।

দুটি ভোটপর্ব শেষে নতুন চ্যান্সেলরের নাম ২৫ নভেম্বর ঘোষণা করা হবে।

অক্সফোর্ডের চ্যান্সেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক প্রধানের পদধারী, যিনি একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। প্রচারণা ও উপদেষ্টা কার্যক্রম এবং তহবিল সংগ্রহের কাজও পরিচালনা করেন। নতুন চ্যান্সেলর বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ম পরিবর্তনের ফলে সর্বোচ্চ ১০ বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবেন।

Share this post

scroll to top