ডেস্ক রিপোর্ট: ইসরাইলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ বলেছেন, অধিকৃত পশ্চিম তীরে পাঁচ লাখ অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের ইসরাইলের প্রত্যেক নাগরিকের সমান অধিকার প্রদান করা আমার মূল লক্ষ্য।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) এক সামাজিকমাধ্যম এক্সের এক পোস্টে তিনি তার লক্ষ্যের কথা জনান। খবর মিডল ইস্ট মনিটরের।
বেজালেল স্মোট্রিচ বলেন, আমি আমার সমস্ত শক্তি দিয়ে কাজ চালিয়ে যাব যাতে সামনের সারিতে থাকা অর্ধ মিলিয়ন বসতি স্থাপনকারীরা ইসরাইলের প্রতিটি নাগরিকের সমান অধিকার ভোগ করতে পারে এবং ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে বাধা প্রদানে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাব।
তিনি বলেন, আমার জীবনের লক্ষ্য হলো ইসরাইলের নতুন ভূমি তৈরি করা এবং একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাকে ব্যর্থ করা। যা ইসরাইলি রাষ্ট্রকে বিপদে ফেলবে।
ইসরাইলি অর্থমন্ত্রী বলেন, এটা রাজনৈতিক নয়। এটা জাতীয় এবং অস্তিত্ববাদী।
স্মোট্রিচ অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসতি স্থাপনের জন্য দায়ী।
এ বিষয়ে হিব্রুর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্মোট্রিচ প্রকৃত সংযুক্তির লক্ষ্যে তার পদক্ষেপের অংশ হিসেবে পশ্চিম তীর নিয়ন্ত্রণের বর্তমান বাস্তবতা পরিবর্তন করছেন।
এতে আরও বলা হয়, ইসরাইলের বর্তমান সরকারের ২০ মাস মেয়াদে স্মোট্রিচ পশ্চিম তীরে ইহুদি ও ফিলিস্তিনিদের মধ্যকার পরিস্থিতির বৈপ্লবিক পরিবর্তন ঘটিয়েছেন।
ইয়েদিওথ আরোনাথের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, প্রকৃত ঐতিহাসিক পরিবর্তন শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অফিসে ঘটে এবং মাঠে এটি একটি অপরিবর্তনীয় বাস্তবতায় পরিণত হয়।
প্রতিবেদনে ও বলা হয়েছে, স্মোট্রিচ পশ্চিম তীরে তার দুই মন্ত্রণালয়কে—অর্থ মন্ত্রণালয় ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে—এক জোড়া সাঁড়াশির মতো ব্যবহার করেছিলেন। অর্থাৎ, তিনি অর্থ এবং অস্ত্র উভয় বিষয়কে পশ্চিমে তার পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যবহার করেছেন। তবে কীভাবে করেছেন সে বিষয়ে কোনো তথ্য দেয়নি সংবাদমাধ্যমটি।
প্রতিবেদন অনুসারে, বেজালেল স্মোট্রিচ মূলত ২০১৭ সাল থেকেই এই পরিকল্পনা করেছে আসছেন। সে সময় তিনি যেসব লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিলেন তা পরিবর্তিত হয়নি। বিশেষ করে, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের পতন, একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা রোধ এবং জর্ডান নদী ও ভূমধ্যসাগরের মাঝামাঝি ভূখণ্ডে বসবাসকারী ৭০ লাখ ফিলিস্তিনিকে এমন একটি পরিস্থিতির সামনে দাঁড় করিয়ে দেওয়া যাতে তারা হয় যুদ্ধে মারা যাও, নয়তো বিদেশ চলে যাও কিংবা চিরকালের জন্য দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হয়ে যায়।
উল্লেখ্য, ইসরাইলি সেনাবাহিনী বর্তমানে পশ্চিম তীরের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে এবং সিদ্ধান্ত এখন স্মোট্রিচের হাতে। এখন নেতানিয়াহুর সামনে একটাই উপায় তাকে বাধা না দিয়ে সমর্থন করে যাওয়া।