শেরপুরে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে প্রেসক্লাব কমিটি

image-843658-1724785976.jpg

ডেস্ক রিপোর্ট: শেরপুর প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন নিয়ে একটি প্রতিবাদ মূলক প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে শেরপুর জেলা বিএনপি। সোমবার রাতে জেলা বিএনপির সভাপতি মো. মাহমুদুল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক মো. হজরত আলীর যৌথ স্বাক্ষরে বিজ্ঞপ্তিটি দেওয়া হয়। যা নিয়ে এখন চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘বিগত ২১ আগস্ট শেরপুর প্রেসক্লাবের কাকন রেজাকে সভাপতি ও মাসুদ হাসান বাদলকে সাধারণ সম্পাদক করে ২২ সদস্যবিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়েছে, যা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির নেতাসহ আমরা কেউ অবগত নই। জেলার সব সাংবাদিকের সঙ্গে সমন্বয় করে একটি সুন্দর ও শক্তিশালী কমিটি গঠন করার আহবান জানানো হলো।

শেরপুর প্রেসক্লাব সূত্রে জানা যায়, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপির নাম ভাঙিয়ে ২১ আগস্ট শেরপুর প্রেসক্লাবের কয়েক জন সাংবাদিক গোপনে বৈঠক করে স্বৈরাচারী কায়দায় ২২ সদস্য বিশিষ্ট একটি কার্যকরী কমিটি গঠন করেন এবং প্রেসক্লাব নিয়ে আদালতে মামলা থাকার পরেও গুটি কয়েক সাংবাদিক প্রেসক্লাবের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন।

এই কমিটি ২২ তারিখ সকালে প্রকাশ হলে আন্দোলন শুরু করে জেলার প্রায় শতাধিক গণমাধ্যমকর্মী। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা। পরবর্তীতে কমিটির বাইরে থাকা শতাধিক সাংবাদিক ক্ষোভ প্রকাশ করে জেলা বিএনপির সভাপতি সাধারণ সম্পাদককে বিষয়টি অবগত করেন। পরে সভাপতি সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিকদের আশ্বস্ত করে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন।

এ ব্যাপারে শেরপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হজরত আলী বলেন, আন্দোলনরত সাংবাদিকদের কাছ থেকে আমি জানতে পারি, গণতান্ত্রিক উপায়ে শেরপুর প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন না করে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে কয়েকজন সাংবাদিক মিলে প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন করেছে। এই কমিটি নিয়ে শেরপুর জেলার বহু সাংবাদিক আন্দোলন শুরু করে দেয় এবং বিএনপি প্রশ্নবিদ্ধ হয়। বিএনপির নাম করে তারা এই কমিটি করেছে তাই আমরা সভাপতি সাধারণ সম্পাদক মিলে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছি।

এ বিষয়ে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আদিল মাহমুদ উজ্জ্বল বলেন, প্রেসক্লাব নিয়ে বিবদমান দুটি গ্রুপের আদালতে মামলা থাকার পরেও দেশের একটি ঐতিহ্যবাহী সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে কতিপয় সাংবাদিক চর দখলের মতো প্রেসক্লাবের তালা ভেঙে প্রবেশ করা এবং কমিটি গঠন করা আদালত অবমাননার শামিল। বিএনপি বিষয়টি নিয়ে যে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সেটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত।

Share this post

scroll to top