ডেস্ক রিপোর্ট: প্রবাদ আছে লোভে পাপ, পাপে মৃত্যু। সেই প্রবাদটিই যেন মিলে গেলো রূপগঞ্জের গাজী টায়ারে আগুনের ঘটনায় নিখোঁজ ব্যাক্তিদের জন্য। ৫ আগস্টে গাজীর রূপসী ও কর্নগোপ কারখানায় লুটপাটের পর লাখ লাখ টাকার মালামাল বিক্রির পর আবারো লোভে পড়ে ২৫ আগস্ট আবারো অনেকেই লুটপাট করতে যায় গাজী টায়ার ফ্যাক্টরিতে। সেই অতিলোভই কাল হলো গাজী টায়ারের ছয়তলা ভবনের ভেতরে আটকে পড়া ব্যাক্তিদের জন্য। তেমনি একজন কাহিনা এলাকার হাসান মিয়া। তিনি গত ৫ আগস্ট গাজী টায়ার কারখানা থেকে মালামাল এনে অনত্রে বিক্রি করে দেন। ২৫ আগস্ট আবার লোভে পড়ে মালামাল লুট করতে গিয়ে ভবনের ভেতরেই আটকে পড়েছেন বলে জানা গেছে। বর্তমানে তার পরিবার তার খোঁজ খবর পাচ্ছে না।
কথা হয় রূপসী কলাবাগান এলাকার জোসনা বেগমের সঙ্গে তিনি বলেন, আমার স্বামী শেখ ফরিদ গত ৫ আগস্ট রূপসী টায়ার ফ্যাক্টরি থেকে টায়ার আইনা বন্ধুগো লগে বিক্রি করছিল। ২৫ তারিখও বন্ধুগো লগে গেছিল রূপসী কারখানাতে টায়ার আনতে। রাত ৯টার দিকে আমার স্বামী শেখ ফরিদ আমারে কল দিয়া কইছিল আমরা ৬ তলা বিল্ডিংয়ের ভিতরে আটকাই আছি।
নিখোঁজ মিল্লাতের স্ত্রী সাদিয়া আক্তার বলেন, গাজীর এই কারখানা কালকে রাতে আইছিল মালামাল নিতে। কেডায় কইব আমার স্বামীরে এতো লোভ করতে। লোভের লাইগাই আইজকা আমি তার কোনো খোঁজ পাইতাছি না। আমার এক ছেলে ও এক মেয়েরে অহন কেডা দেখব। আমাগো বাড়ি বরিশাল কিন্তু আমরা বরপা এলাকায় ভাড়া থাকি।