বিনোদন ডেস্ক : আরজি করকাণ্ডের ভয়াবহতা মিলিয়ে দিল দেব ও রূপাকে। শনিবার এর প্রতিবাদে জড়ো হন আর্টিস্ট ফোরামে। এদিন জমায়েতের মঞ্চে পাশাপাশি দেখা যায় অভিনেতা দেব ও অভিনেত্রী রূপা গঙ্গোপাধ্যায়কে। একসঙ্গেই তারা প্রতিবাদ জানান আরজি করকাণ্ডে চিকিৎসকের মৃত্যুতে। উদ্দেশ্য একটাই— বিচার চাই।
এ অভিনেত্রী বলেন, এ মুহূর্তে কোনোভাবেই রাজনৈতিক দল, জাত, ধর্ম ভাষার হিসাব করব না। যে রাজ্যেই যে অপরাধী হবে, তার শাস্তির দাবিতে সবাই একত্রিত হব। কোনটা বিজেপির রাজ্য, কোনটা তৃণমূলের রাজ্য, কোনটা সিপিআইএমের রাজ্য, তা দেখা হবে না। কেউ বেছে বেছে প্রতিবাদ করবে না।
আনন্দবাজার সূত্রে জানা গেছে, কয়েকজন ‘মিটু’ অভিযুক্তও এই আন্দোলনে শামিল হচ্ছেন। এ প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, হয়তো তাদেরও বোধদয় হয়েছে। যদি কেউ অন্যায় কাজ করে এখন এই আন্দোলনে শামিল হন, তবে বুঝতে হবে সেটি শুভ লক্ষণ।
এদিকে অনেকেই দাবি করেছেন, অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় এ রাজ্যে নারী নির্যাতনের হার কম। এই দাবি মানতে নারাজ রূপা। তিনি বলেন, অন্যান্য রাজ্যের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের সংখ্যাতত্ত্বের কিছু ফারাক আছে। আমি সাক্ষী। নিরপেক্ষভাবে বলছি— কামদুনিকাণ্ডের সময়ও দেখেছি। অন্যান্য রাজ্যে অপরাধের শাস্তি দ্রুত হয়। কিন্তু এই রাজ্যে সরকারি হাসপাতালের মধ্যে কর্মরত চিকিৎসকের এমন পরিণতি হচ্ছে।
অন্যদিকে ঘটনার সময় ছুটি কাটাতে বিদেশে ছিলেন তৃণমূল সংসদ সদস্য ও অভিনেতা দেব। সেখান থেকে প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া জানালেও প্রতিবাদে তেমন ভাবে যোগ দিতে দেখা যায়নি তাকে। আর্টিস্ট ফোরামের প্রতিবাদ সমাবেশে যোগ দিয়ে দেব বলেন, আমরা চাই দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি হোক। শুধু তাই নয়, যারা দোষীদের আড়াল করার চেষ্টা করছেন, তাদেরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। তিনি অবশ্য দাবি করলেন— তদন্তের স্বার্থে যতটা সময় দেওয়া প্রয়োজন ততটুকু দিতেই হবে। এ অভিনেতা বলেন, তদন্তের ভার রয়েছে ভারতবর্ষের সেরা সংস্থার হাতে। সিবিআইয়ের ওপর ভরসা আমাদের করতেই হবে। কলকাতা পুলিশের হাতে একসময় তদন্তের দায়িত্ব ছিল; কিন্তু তারা দুদিনের বেশি সময় পায়নি। এখন সিবিআইকে প্রয়োজনীয় সময়টুকু দিতেই হবে।
আরজি করের পাশাপাশি সারা দেশে ঘটে যাওয়া অজস্র নারী নির্যাতনের কথা উল্লেখ করে দেব বলেন, শুধু কি আরজি কর? গত ১৪ দিনে সারা দেশে একের পর এক ধর্ষণ ঘটে গেছে। দেশজুড়ে এত প্রতিবাদ চলছে তবু কারও মনে কোনো ভয় নেই! কিছুই করতে পারছি না আমরা? এই সময় আমাদের সবাইকে একসঙ্গে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।