রাশিয়ায় রাষ্ট্রদ্রোহিতার দায়ে মার্কিন-রুশ নাগরিকের কারাদণ্ড

image-839162-1723882775.jpg

ডেস্ক রিপোর্ট: রাষ্ট্রদ্রোহিতার দায়ে রাশিয়া ও আমেরিকার দ্বৈত নাগরিক সেনিয়া কারেলিনাকে ১২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে রাশিয়ার একটি আদালত৷

তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ইউক্রেন রাশিয়ায় হামলা চালানোর সময় ইউক্রেনের সহায়তায় কাজ করে এমন একটি দাতব্য সংস্থাকে অর্থ দিয়েছেন কারেলিনা।

এর আগে একই আদালতে ওয়াল স্ট্রিটের সাংবাদিক ইভান গেরশকোভিচের মামলার শুনানি হয়েছিল৷ পরে অবশ্য পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে হওয়া রাশিয়ার বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় মুক্তি পান গেরশকোভিচ৷

আদালত জানায়, তদন্তে প্রমাণ হয়েছে ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সালে, যেদিন রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালিয়েছিল, সেদিন কারেলিনা ইউক্রেনের সহায়তায় কাজ করে এমন একটি সংস্থাকে অর্থ দেন তিনি৷

দাতব্য ওই সংস্থাটি নাম রাজোম। এটি একটি নিউইয়র্কভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা। এ সংস্থাটি ইউক্রেনের শিশু এবং প্রবীণদের মানবিক সহায়তা প্রদান করে থাকে৷

আদালত জানায়, ওই সংস্থাটিকে সেদিন কারেলিনা ৫১ দশমিক ৮০ ডলার সহায়তা প্রদান করে৷

কারেলিনার ছেলেবন্ধু ক্রিস্টফার ফান হিরডেন জানান, এই রায়ে তিনি অসন্তুষ্ট৷ তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টকে কারেলিনাকে ‘ভুলভাবে আটকে রাখা হয়েছে’ এমন ঘোষণা দেওয়ার আহ্বান জানান৷

এদিকে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা দপ্তরের মুখপাত্র জন কিরবি এই রায় ‘নিষ্ঠুর’ বলে মন্তব্য করেন৷ তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র তার মুক্তির জন্য কাজ করে যাবে৷ একই সঙ্গে কারেলিনা যেন আইনি পরামর্শের সুযোগ পান তার জন্যও কাজ করবে৷

আগের বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় বিনিময় হওয়াদের তালিকায় ছিলেন না কারেলিনা৷ তিনি কেন সেই তালিকায় ছিলেন না সে বিষয়ে বিস্তারিত জানা যায়নি৷

কারেলিনার আইনজীবী মিখাইল মুশাইলোভ জানান, পরের ধাপে হওয়া বিনিময়ের সময়ে কারেলিনাকে যুক্ত করার জন্য তিনি কাজ করে যাবেন৷

রাশিয়ায় জন্ম নেওয়া কারোলিনা ২০১২ সালে শিক্ষার উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান৷ ২০২১ সালে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন৷

চলতি বছরের শুরুতে পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে রাশিয়ায় যান তিনি৷ সেসময় বিমানবন্দরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং তার মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়৷ সেখান থেকে কর্তৃপক্ষ জানতে পারে, কারেলিনা ওই দাতব্য সংস্থায় অর্থ সহায়তা করেছেন৷

যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত যাওয়ার একদিন আগে রাহাজানির দায়ে তাকে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেয় আদালত৷ এরপর জেল থেকে মুক্তির ঠিক আগে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনে রাশিয়া৷

Share this post

scroll to top