ডেস্ক রিপোর্ট: এক দফা দাবি নিয়ে সকাল থেকেই শাহবাগে জড়ো হয় আন্দোলনকারীরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মিছিল নিয়ে আসতে থাকে আন্দোলনকারীরা। তারা সরকারের পদত্যাগের দাবিতে নানা স্লোগান দিচ্ছিলেন।
এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) সামনে স্লোগান দিতে থাকা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের ধাওয়া দেয় পুরান ঢাকার দিক থেকে আসা মিছিলের কর্মীরা। পরে নিরাপত্তার স্বার্থে তারা হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে যান।
তখন বিক্ষোভকারীরা হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের খুঁজতে থাকেন এবং ইট পাটকেল নিক্ষেপ করেন। এ সময় হাসপাতালের প্রাঙ্গণে থাকা প্রায় ২০টি গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স এবং ১৫টির মতো মোটরসাইকেলে ভাঙচুর করা হয়। কয়েকটি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়।
এদিকে পুরো শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, টিএসসি, বকশিবাজার, শহিদ মিনার, পল্টন ও প্রেসক্লাব দখলে নিয়েছে আন্দোলনকারী ছাত্ররা। সময় যত বাড়ছে শাহবাগ মুখী মানুষের ভিড়ও তত বাড়ছে। ছোট ছোট মিছিল নিয়ে জড়ো হচ্ছে শাহবাগে।
প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচি আজ থেকে শুরু হয়েছে। কর্মসূচি পালন করতে সকালে শাহবাগ এলাকা দিয়ে দুতিনজন করে বিক্ষোভকারী যাওয়ার সময় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাদের মারধর করেন। পরে বিক্ষোভকারীরা সংগঠিত হয়ে আসেন। বেলা ১২টার দিকে ওই এলাকায় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের দেখা যায়নি।