‘নীরজ পান্ডে যে এমন ব্যতিক্রমী প্রেমের ছবি করতে পারেন, তা ভাবাই যায় না’

image-833528-1722679089.jpg

বিনোদন ডেস্ক : বলিউড অভিনেতা অজয় দেবগন ও অভিনেত্রী টাবু দীর্ঘ দিন পর একসঙ্গে আবারও পর্দায় ফিরেছেন । ‘অরোঁ মে কহাঁ দম থা’ ছবির মাধ্যমে তারা পর্দায় এসেছেন। তাদের পর্দার প্রেম জমল কিনা তা নিয়ে লিখেছেন আনন্দবাজারের সাংবাদিক অতীন্দ্র দানিয়াড়ী। তা পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

‘অরোঁ মে কহাঁ দম থা’ ছবি সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, প্রেম কি চিরন্তন সত্য, না কি কিছু দিনের একটা সম্পর্ক? প্রেম কী শুধুই অবসর যাপন, না কি দেহসর্বস্ব বন্ধুত্ব? এসব প্রশ্নের সঠিক উত্তর আজও অধরা। উত্তর খুঁজতে গেলেও উঠে আসে বিতর্ক। প্রেমের গতিপ্রকৃতির এমনই বিতর্কিত ভাবনা নিয়ে ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতে বহু ছবি তৈরি হয়েছে, আগামী দিনেও হবে। অনেক ছবিতেই প্রেম সব সম্পর্ক, নিয়মকানুন ও সমাজকে পেরিয়ে একটা অন্য রকম ভাবনা তৈরি করতে পেরেছে, যেখানে প্রেম চিরন্তন এবং চিরদিনের। প্রেমের এমনই চরিত্র নিয়ে তৈরি হয়েছে নীরজ পান্ডে পরিচালিত ছবি ‘অরোঁ মে কহাঁ দম থা’।

এ ছবিতে এক দম্পতির প্রেমের গল্প বলা হয়েছে— যে প্রেম সামাজিকভাবে পরিণতি না পেলেও ২৩ বছর ধরে বেঁচে থাকে এবং আরও তেইশ, একশো বা হাজার বছর বেঁচে থাকার প্রতিশ্রুতি দেয়। সামাজিক টানাপোড়েনে বিবাহবন্ধনে বাঁধা না পড়লেও সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘরের ছেলেমেয়ে কৃষ্ণ ও বসুধার প্রেম এক গভীর মনস্তত্ত্বের কথা বলে, যেখানে সম্পর্ক সময়ের ওঠাপড়ায় ভেঙে যায় না। দুজন প্রেমিক-প্রেমিকা আলাদা হয়ে যায় না। সব বাধা পেরিয়ে এই প্রেম দুই দশক বা তার বেশি সময় ধরে একই ভাবে সজীব এবং সচল থাকতে পারে।

সাংবাদিক অতীন্দ্র দানিয়াড়ী বলেছেন, ছবির গল্পে তেমন কোনো চমক না থাকলেও এমন গল্প অনেকেই ভাবতে পারেন, লিখতেও পারেন। গল্পের চলনও বেশ সহজ-সরল ও স্পষ্ট। প্রেমিক-প্রেমিকা কৃষ্ণ ও বসুধা দুজন দুজনকে প্রচণ্ড ভালোবাসেন। তাদের সম্পর্ক নিয়ে তাদের বাড়িতেও কোনো সমস্যা নেই। কৃষ্ণের বিদেশে চাকরির প্রস্তাব আসে, সে বিদেশ যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। তারা ঠিক করে বিদেশ থেকে ফিরে এসে বিয়ে করবে। এ সময় একদিন রাতে বসুধাকে তিনজন ছেলে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে, যাদের মধ্যে দুজন খুন হয়ে যায়। কে মারল ওদের? কে সেই আততায়ী? এখানেই ছবিটির মূল গল্পের প্রেক্ষাপট। যেখান থেকে গল্প একটু একটু করে শেষ দৃশ্যের দিকে এগিয়ে চলে, যেটিই দেখার জন্য হলে বসে অপেক্ষা করতে হবে।

ছবিতে কৃষ্ণের দুই বয়সের দুটি প্রেম দেখানো হয়েছে। একদিকে মাঝবয়সি কৃষ্ণ এবং অভিজিতের (জিমি শেরগিল) স্ত্রী বসুধার প্রেম। অন্যদিকে যুবক কৃষ্ণ এবং তরুণী বসুধার প্রেম। অজয় দেবগণ ও টাবু ভারতীয় সিনেমায় এক সফল জুটি। অনেক ছবিতেই তাদের রসায়ন দর্শকের প্রশংসা পেয়েছে। এই ছবিতে দুজনকেই অন্য রকম দুটি চরিত্রে দেখা গেল, যেখানে পর্দায় তারা নিজেদের ভেঙে একেবারেই ব্যতিক্রমী চরিত্র তৈরি করতে পেরেছেন। কৃষ্ণ ও বসুধার কম বয়সের চরিত্রে শান্তনু মহেশ্বরী ও সাই মাঞ্জরেকার বেশ ভালো। বিশেষ করে শান্তনু মহেশ্বরীর অভিনয় মনে থেকে যায়। অন্যান্য চরিত্রাভিনেতাও তাদের কাজ বেশ যত্ন করেই করেছেন। এসব কিছুকে সরিয়ে রেখে একটি কথা বলাই যায়— ‘অরোঁ মে কহাঁ দম থা’ ছবিটির দম আছে। এ মুহূর্তে প্রেমের ছবি হিসেবে এটি ব্যতিক্রমী।

Share this post

scroll to top