গাজার ‘নিরাপদ অঞ্চলে’ হামলায় নিহত শতাধিক, যা বলল হামাস

image-827985-1720942277.jpg

ডেস্ক রিপোর্ট:  ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসের ‘নিরাপদ অঞ্চল’ আল-মাওয়াসি এলাকায় ইসরাইলের ভয়াবহ বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে। ইসরাইলি বাহিনীর এই হামলাকে ‌‘জঘন্য গণহত্যা’ বলে নিন্দা জানিয়েছে সশস্ত্র সংগঠন হামাস।

শনিবার (১৩ জুলাই) এক বিবৃতিতে হামাস এসব কথা বলেছে। খবর এএফপির।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহর হত্যার উদ্দেশ্যে শনিবার ইসরাইলি বাহিনীর ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে। ইসরাইলি বাহিনীর দ্বারা পরিচালিত জঘন্য গণহত্যা যুদ্ধবিরতিতে বাধা তৈরি হতে পারে।

হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতাকারীদের এই হামলার বিষয়ে দৃষ্টির আহ্বান জানিয়েছেন।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, শনিবার খান ইউনিস শহরের পশ্চিমের বাস্তুচ্যুত মানুষের শিবিরে ইসরাইলি হামলায় অন্তত ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৩০০ জনের বেশি মানুষ আহত হয়েছেন।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে জানিয়েছে, ইসরাইলি সামরিক বাহিনী এই এলাকাটিকে নিরাপদ অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা দিয়ে ফিলিস্তিনিদের সেখানে আশ্রয় নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল। কিন্তু সেখানেই এই হামলা করা হলো।

এ ঘটনার একজন প্রত্যক্ষদর্শী বিবিসিকে বলেছেন, হামলার স্থানটিকে দেখে মনে হচ্ছে সেখানে ‘ভূমিকম্প’ আঘাত হেনেছে। এ ছাড়া ওই এলাকার বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ধ্বংসাবশেষের মধ্য থেকে হতাহতদের স্ট্রেচারে তোলা হচ্ছে।

অন্যরা বলছেন, হামলার মাত্রা এত শক্তিশালী ছিল যে তাদের তাঁবু ভেঙ্গে গেছে। মানুষের মরদেহ ও শরীরের অঙ্গ মাটিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে।

গাজা সিটির বাসিন্দা শেখ ইউসেফ বাস্তুচ্যুত হয়ে এখন আল-মাওয়াসি এলাকায় বাস করেন। তিনি বলেন, আমি কোথায় ছিলাম বা কী ঘটছিল তাও বলতে পারব না। আমি তাঁবু রেখে আশপাশে তাকিয়ে দেখলাম, সব তাঁবু ভেঙে গেছে। মানুষের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, সর্বত্র লাশ। বয়স্ক নারীরা মেঝেতে পড়ে আছেন। ছোট বাচ্চাদের লাশ টুকরো টুকরো হয়ে পড়ে আছে।

তবে ইসরায়েলের দাবি, এবারের বিমান হামলায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ যোদ্ধাদল হামাসের সামরিক বিভাগের প্রধান এবং ৭ অক্টোবরের হামলার কথিত এক মাস্টারমাইন্ডকে নিশানা করে করেছে ইসরাইলি সেনারা।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে একজন ইসরায়েলি নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন, হামাসের সামরিক শাখা কাসাম ব্রিগেডের প্রধান মোহাম্মদ দেইফকে টার্গেট করে শনিবার খান ইউনিস শহরের পশ্চিমের বাস্তুচ্যুত মানুষের শিবিরে হামলা করা হয়েছে। এই হামলায় দেইফ ছাড়াও খান ইউনিসের কাসাম ব্রিগেডের প্রধান রাফে সালামাকে নিশানা করা হয়েছে। তারা দুজন নিহত হয়েছেন কিনা, তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী।

Share this post

scroll to top