কোটা বাতিলের দাবিতে সর্বাত্মক ব্লকেডের পরিকল্পনা

image-825774-1720451721.jpg

ডেস্ক রিপোর্ট:  সকল গ্রেডের সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে ছাত্র ধর্মঘট ও ‘বাংলা ব্লকেড’র কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। সোমবার দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন ও দেশে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক অবরোধ করে এই কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ছাত্র ধর্মঘট ঘোষণা দেওয়া হয়। একইসঙ্গে সর্বাত্মক ব্লকেডের পরিকল্পনার কথাও জানান আন্দোলনকারীরা।

জানা যায়, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী রোববার বিকাল তিনটা থেকে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর ব্যানারে শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি শুরু করেন। বেলা ৩টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এরপর বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে লেকচার থিয়েটার ভবন, মাস্টার দা সূর্য সেন হল, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল, ভিসি চত্বর, টিএসসির রাজু ভাস্কর্য হয়ে শাহবাগ মোড় অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের মিছিলটি শাহবাগ পৌঁছালে এ সময় কিছু শিক্ষার্থী ইন্টারকন্টিনেন্টাল, কারওয়ান বাজার, মিন্টু রোডের মোড়ে গিয়ে অবরোধ করতে দেখা য়ায়। এদিকে, বেলা সাড়ে ৩টার দিকে সায়েন্সল্যাব অবরোধ করেন ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে নীলক্ষেত মোড় অবরোধ করেন ইডেন কলেজ ও হোম ইকনোমিক্স কলেজের শিক্ষার্থীরা। আর চানখারপুল, ঢাকা মেডিকেল কলেজ সংলগ্ন মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের ওঠার রাস্তা অবরোধ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশে হল, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্‌ হলের শিক্ষার্থীরা।

পরে সাড়ে আটটার সময় কর্মসূচি ঘোষণা করে শাহবাগ ছাড়েন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ছাত্রদের যদি কোনো ক্ষতি হয় তার দায়ভার আপনাদের নিতে হবে। আমরা থাকবো রাস্তায় আর আপনারা থাকবেন এসি রুমে। তা হবে না। আপনারা যদি অতিসত্বর আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করেন তাহলে বুঝব আমাদের পালস বুঝতে পারেনি।

সার্জিস আলম বলেন, বাংলাদেশ মনে করেছিল ছাত্র-জনতা ঘুমিয়ে গিয়েছে কিন্তু ছাত্র সমাজ ঘুমিয়ে পড়েনি। যখনই প্রয়োজন হবে ছাত্র সমাজ আবারও ২৪ এর মতো জেগে উঠতে হবে। বায়ান্ন, ঊনসত্তর, একাত্তর সাত দিনে সংগঠিত হয়নি। একাত্তরের পরে ২০২৪ এ বাংলাদেশ আবার জেগে উঠবে।

তিনি বলেন, শিক্ষামন্ত্রী বলেন হাইকোর্টের রায় মেনে নিতে। আমরা শিক্ষামন্ত্রীকে প্রশ্ন করতে চাই কোটার প্রতি আপনার এতো দরদ কেন? আপনি কি কোটার প্রোডাক্ট নাকি। স্মার্ট বাংলা, উন্নত বাংলাদেশ গড়তে হলে মেধাবীদের হাতে বাংলাদেশ ছেড়ে দিতে হবে। আজকে ঢাকা শহর ব্লকেড হয়েছে। এছাড়াও ৪০ টি জেলায় ব্লকেড হয়েছে।

আন্দোলের কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, হাইকোর্টের ঘোষণার পর আমরা আমাদের আন্দোলন শুরু করেছি। এটর্নি জেনারেলকে স্মারকলিপি দিয়েছি। যত ধরনের স্বাভাবিক প্রক্রিয়া করার করেছি। আমাদের মন্ত্রীদের দায়িত্বশীল আচরণ করতে হবে।

তিনি সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এখন সরকারকে এক দফা দিয়ে দিয়েছি। এখন বল সরকারের কোর্টে। সরকার এবং জনপ্রশাসনকে আমাদের এক দফা দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে। আমাদের যারা আন্দোলনে অংশ নিয়েছে তাদের যদি কোনো বাধা দেওয়া হয় তাহলে কঠোর   জবাব দেওয়া হবে।

সর্বাত্মক ব্লকেডের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সর্বাত্মক ব্লকেডের পরিকল্পনা করছি।

Share this post

scroll to top