খুলনার দর্পণ ডেস্ক : ইউক্রেনে যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়াকে পরাজিত করা ‘অসম্ভব’ বলে মন্তব্য করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন। একই সঙ্গে ইউক্রেনকে ওয়াশিংটনের অস্ত্র সরবরাহের কারণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সাথে কথা বলার কিছু নেই বলেও জানান রুশ প্রেসিডেন্ট। খবর আনাদোলুর।
মস্কোতে ফক্স নিউজের সাবেক হোস্ট টাকার কার্লসনের সাথে এক সাক্ষাৎকারের এসব কথা বলেন পুতিন, যা বৃহস্পতিবার রাতে প্রচারিত হয়েছিল। ২০১৯ সালের পর এই প্রথম কোনো পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন পুতিন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘রুশ বাহিনীর অভিযানের শুরু থেকে পশ্চিমা বিশ্ব নিয়মিত গুজব ছড়িয়েছে যে যুদ্ধক্ষেত্রে রুশ বাহিনী কৌলগত পরাজয়ের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। কিন্তু এখন সম্ভবত পশ্চিমও অনুভব করতে পারছে যে, এতদিন তারা বিভ্রান্তির মধ্যে ছিল। আর আমার মতামত যদি জানতে চান, সেক্ষেত্রে আমি বলব- ইউক্রেনে রুশ বাহিনীকে পরাজিত করা অসম্ভব।’
রুশ এবং ইউক্রেনীয় বাহিনীর মধ্যে সামনের সারিতে যা ঘটছে তা কিছুটা হলেও ‘গৃহযুদ্ধের উপাদান বলে পুতিন উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, পশ্চিমের সবাই মনে করে যে ইউক্রেনের লড়াই চিরতরে রাশিয়ান জনগণের একটি অংশকে আলাদা করে দিয়েছে। কিন্তু খুব শিগগিরই তাদের পুনর্মিলন ঘটবে।
ইউক্রেনকে যুক্তরাষ্ট্রের একটি ‘স্যাটেলাইট’ এবং সোভিয়েত ইউনিয়নের তৈরি একটি কৃত্রিম রাষ্ট্র হিসাবেও সংজ্ঞায়িত করেছেন পুতিন। তিনি অভিযোগ করেন, ইউক্রেনের নেতৃত্ব ওয়াশিংটনের নির্দেশের ভিত্তিতেই রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা করতে অস্বীকার করেছিল। রাশিয়া ও ইউক্রেন শিগগিরই কোনো চুক্তিতে আসবে কী না? এমন প্রশ্নের জবাবে পুতিন বলেন, ‘রাশিয়া কখনওই আলোচনা প্রত্যাখ্যান করেনি।’
তিনি আরও বলেন, শিগগিরই বা দেরিতে, আমরা যেভাবেই হোক একটি চুক্তিতে আসব এবং জনগণের মধ্যে সম্পর্ক যেভাবেই হোক পুনরুদ্ধার করা হবে। তবে এতে অনেক সময় লাগতে পারে। ‘ইউক্রেনের সংঘাত বন্ধ করতে চাইলে যুক্তরাষ্ট্রকে অস্ত্র সরবরাহ বন্ধ করতে হবে, আর তা হলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সবকিছু স্বাভাবিক হবে।’
তিনি জোর দিয়েছিলেন, পোল্যান্ড, লাটভিয়া বা অন্য কোনো দেশের কাছে মস্কোর কোনো আঞ্চলিক দাবি নেই।