ইতিহাস গড়ে পাঁচবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

Untitled-13-copy-3.jpg

খুলনার দর্পণ ডেস্ক : টানা চতুর্থবার আর এ নিয়ে পঞ্চমবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে রেকর্ড গড়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। তার নেতৃত্বে এগুচ্ছে এক অপ্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ। এবারও নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির গুরুত্ব যেন আরও অধিষ্ঠিত হলো। পঞ্চম মেয়াদে শেখ হাসিনার হাত ধরে তৈরি হবে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’। শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বকে ‘হার্ড পাওয়ার’ হিসেবে বর্ণনা করেছে টাইম ম্যাগাজিন, বিবিসি বলেছে ‘ওয়ান উইমেন শো’।
গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২৯৯টি আসনের মধ্যে ২২২টিতে জিতে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের নায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে নিহত হওয়ার ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রথম সরকার গঠন করেন তার কন্যা শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন ১৯৯৬ সালে। ওই বছরের ১২ জুন অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ২৩ জুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন তিনি। ২০০১ সালে মেয়াদ শেষে শান্তিপূর্ণভাবে নির্দলীয়-নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ পরাজিত হয় বিএনপির কাছে। ২০০৬ সালে বিএনপি-জামায়াত সরকার ক্ষমতা হস্তান্তরে জটিলতা সৃষ্টি করলে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করে। প্রায় দুই বছর ক্ষমতায় থাকার পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করে। এতে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন শেখ হাসিনা। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনেও আওয়ামী লীগ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়। এ নির্বাচনের পর ওই বছরের ১২ জানুয়ারি তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন শেখ হাসিনা। সর্বশেষ ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি সরকার গঠন করেন শেখ হাসিনা।
শেখ হাসিনার বিচক্ষণ পরিকল্পনায় বাংলাদেশ ইতোমধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশকে এখন আর কেউ অবহেলা করতে পারে না। বিশ্ব মানচিত্রে বাংলাদেশ এখন উন্নয়ন আর অগ্রগতির সফল রোল মডেল। টানা তৃতীয় মেয়াদে (২০১৮-২০২৩) শেখ হাসিনা সরকারে থাকাবস্থায় একাদশ নির্বাচনে ভরাডুবির অভিজ্ঞতা মাথায় নিয়ে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে এবারও ভোট বর্জন করেছে বিএনপি ও তাদের সমমনা দলগুলো। দফায় দফায় হরতাল-অবরোধের মধ্যে ২০১৩-২০১৫ সালের মতো নাশকতাও ফিরে এসেছে। সেই সহিংসতা মোকাবেলা করে এবারও নির্বাচনী বৈতরণী পেরিয়ে এলেন শেখ হাসিনা। ভোটে জনগণের অংশগ্রহণ বাড়াতে নতুন কৌশল নিয়ে এক আসনে নিজ দলের একাধিক প্রার্থীর অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছিলেন তিনি। এবারের নির্বাচনের ইশতেহারেও আওয়ামী লীগ গুরুত্ব দিয়েছে অর্থনৈতিক অগ্রগতির ওপর; ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট সোনার বাংলা গড়ার কথা বলছে দলটি। শেখ হাসিনা প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছেন, অগ্রগতির ধারাবাহিকতায় ২০৩১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উচ্চ-মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট ‘সোনার বাংলা’য় পরিণত করবেন তিনি।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top