খুলনার দর্পণ ডেস্ক : পিঁয়াজ রপ্তানির ওপর জারি করা নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পরিকল্পনা করছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। প্রধান উৎপাদন অঞ্চলগুলোতে পিঁয়াজের দাম ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ায় এ পরিকল্পনা নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিক টাইমস।
ইকোনমিক টাইমস জানাচ্ছে, গত কয়েকদিনে, সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় কুইন্টালপ্রতি পিঁয়াজের দাম ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে। খরিপ শস্য বাজারে আসায় দাম দেশটিতে এ সবজির দাম কমতে শুরু করেছে। এখন প্রতি কুইন্টাল পিঁয়াজের দাম ১ হাজার ৮৭০ রুপি থেকে কমে ১ হাজার ৫০০ রুপিতে নেমেছে।
ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে সবচেয়ে বেশি পিঁয়াজ চাষ হয়। জানা গেছে রাজ্যটির লাসালগাঁও পাইকারি বাজারে পিঁয়াজের সে দাম ৬০ শতাংশ পর্যন্ত কমে গেছে। ওই অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, বাজারে প্রতিদিন খরিপ পিঁয়াজ আসার পরিমাণ বেড়ে ১৫ হাজার কুইন্টালে দাঁড়িয়েছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রধান উৎপাদন অঞ্চলগুলোতে দাম ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ায় কেন্দ্রীয় সরকার পিঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার পরিকল্পনা করছে। তবে তারা চায় না যে দাম খুব বেশি কমে যাক। এমনটি হলে কৃষকরা ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
গত ৮ ডিসেম্বর পিঁয়াজ রপ্তানিতে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা দেয় ভারত। উৎপাদন কমে যাওয়ায় অভ্যন্তরীণ বাজারে কন্দ সবজিটির দাম দ্বিগুণ হয়ে যাওয়ার পর এ পদক্ষেপ নেয় মোদী সরকার।
সে সময় ভারতের ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল, ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পিঁয়াজের রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর অনুরোধের পর কেন্দ্রীয় সরকার থেকে দেয়া অনুমতির ভিত্তিতে পিঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেয়া হবে।
এর আগে গত অক্টোবর মাসের শেষদিকে অভ্যন্তরীণ বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও মূল্য স্থিতিশীল রাখতে পিঁয়াজ রপ্তানির সর্বনি¤œ মূল্যসীমা বেঁধে দিয়েছিল ভারত। সেসময় দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি টন পিঁয়াজের সর্বনি¤œ মূল্য ৮০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে দেয়। তার মধ্যেই এ বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত পিঁয়াজ রপ্তানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। সূত্র: দ্য ইকোনমিক টাইমস