ব্ল্যাকহোল গবেষণায় মহাকাশে রকেট পাঠাল ভারত

Untitled-12-copy-1.jpg

খুলনার দর্পণ ডেস্ক : ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে গবেষণা করার জন্য প্রথম বারের মতো মহাকাশে রকেট উৎক্ষেপণ করেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। যুক্তরাষ্ট্রের পর দ্বিতীয় দেশ হিসেবে কৃষ্ণগহ্বর নিয়ে গবেষণার জন্য মহাকাশে রকেট পাঠাল ভারত।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ১০ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটায় সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে ‘এক্সপোস্যাট’ বা ‘এক্স-রে পোলারিমিটার স্যাটেলাইট’ সফলভাবে উৎক্ষেপণ করেছে ইসরো।
জানা গেছে, মহাকাশে কৃষ্ণগহ্বরের সন্ধান এবং পর্যবেক্ষণ করবে এই স্যাটেলাইট। এ ছাড়াও উজ্জ্বলতম ৫০টি শক্তির উৎস পর্যবেক্ষণ ‘এক্সপোস্যাটের’ তালিকায় রয়েছে। মহাকাশের নিউট্রন স্টারগুলো নিয়েও এই কৃত্রিম উপগ্রহের সাহায্যে গবেষণা করবেন বিজ্ঞানীরা।
এনডিটিভি জানিয়েছে, এক্স-রে ফোটন ও তার পোলারাইজেশন ব্যবহার করে ‘এক্সপোস্যাট’ কৃষ্ণগহ্বরের কাছের রেডিয়েশন বা তেজস্ক্রিয়তা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করবে। পৃথিবী থেকে ৫০০ থেকে ৭০০ কিলোমিটার উঁচুতে উঠবে এক্সপোস্যাট। তার পর নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করবে। এছাড়া নিউট্রন স্টার সম্পর্কেও জানতে সাহায্য করবে এই স্যাটেলাইট। পোলিক্স পে-লোডের থমসন স্ক্যাটারিং ব্যবহার করা হবে এর জন্য।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, ‘এক্সপোস্যাট’ তৈরিতে খরচ হয়েছে প্রায় ২৫০ কোটি রুপি। স্যাটেলাইটটি মহাশূন্যে পাঁচ বছর থাকতে পারবে বলেই অনুমান করা হচ্ছে।
ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ বলেন, ‘আরও এক সাফল্য পেলাম পিএসএলভি-তে। এক্সপোস্যাট স্যাটেলাইট নির্দিষ্ট কক্ষপথে বসিয়ে দেয়া হয়েছে। আমাদের সামনে আরও উত্তেজনাময় সময় অপেক্ষা করছে। মাত্রই বছর শুরু হলো। এ বছর আরও অনেক প্রকল্প রয়েছে। ২০২৪ গগণযানের বছর।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে এই একই মিশনের জন্য প্রথম বারের মতো মহাকাশে রকেট পাঠিয়েছিল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। নাসার ‘আইএক্সপিই’ স্যাটেলাইট তৈরিতে খরচ হয়েছিল প্রায় ১৮৮ মিলিয়ন ডলার।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top