খুলনার দর্পণ ডেস্ক : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ব্যালট পেপার ভোটের দিন ভোরে কেন্দ্রে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল সোমবার এই সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করেছে ইসি। পরিপত্রে বলা হয়, শুধু দুর্গম এলাকায় ব্যালট পেপার যাবে ভোটের আগের রাতে।
পরিপত্রে ইসি জানায়, নির্বাচনী দ্রব্যাদি পরিবহণ ও বিতরণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণের দিন সকালে ব্যালট পেপার প্রেরণ করা হয়ে হবে।
সেখানে আরও বলা হয়, জেলা পর্যায় হতে উপজেলা পর্যায়ে এবং উপজেলা পর্যায় হতে ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পেপার, ব্যালট বাক্সসহ নির্বাচনী দ্রব্যাদি পরিবহণ ও বিতরণের সময় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এ লক্ষ্যে পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা ও সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। প্রয়োজন অনুসারে নির্বাচন কমিশন সচিবালয় হতে বিভাগ ও আঞ্চলিক বা জেলা পর্যায়ে নির্বাচনী দ্রব্যাদি পরিবহণে বিশেষ নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। বিভাগ ও আঞ্চলিক পর্যায় হতে জেলা সভায় এবং জেলা পর্যায় হতে উপজেলা পর্যায়ে দ্রব্যাদি পরিবহণ ও বিতরণে অনুরূপ নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে।
এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৪২ হাজার ১০৩টি। আর ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন এবং নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন। আর হিজড়া ভোটার রয়েছেন ৮৫২ জন।
চার লাখ ছয় হাজার ৩৬৪ জন প্রিসাইডিং অফিসার, দুই লাখ ৮৭ হাজার ৭২২ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং পাঁচ লাখ ৭৫ হাজার ৪৪৩ জন পোলিং অফিসার, মোট নয় লাখ নয় হাজার ৫২৯ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন।
ইসি কর্মকর্তা জানান, ভোটের মাঠে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে আগে পরে ১৩ দিন নিয়োজিত থাকবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আনসারের পাঁচ লাখ ১৬ হাজার সদস্য, কোস্ট গার্ডের ২ হাজার ৩৫০ জন, বিজিবির ৪৬ হাজার ৮৭৬ সদস্য, পুলিশের (র্যাবসহ) থাকবে ১ লাখ ৮২ হাজার ৯১ জন সদস্য। অর্থাৎ সাত লাখ ৪৭ হাজার ৩২২ জন সদস্য ভোটের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়া মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী। যা আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকার কথা রয়েছে।
অধিকাংশ কেন্দ্রে ব্যালট পেপার যাবে ভোটের দিন সকালে
