নির্বাচনের পর শ্রম আইনের ত্রুটি সংশোধন করা হবে : আইনমন্ত্রী

Untitled-8-copy-5.jpg

খুলনার দর্পণ ডেস্ক : নির্বাচনের পর যখন নতুন সংসদ বসবে, তখন শ্রম আইনের ত্রুটি সংশোধন করা হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, শ্রম আইন সংশোধনী টাইপিংয়ে এমন ত্রুটি ছিল যে, এতে শ্রমিকদের অধিকার ক্ষুণœ হবে।
এতে রাষ্ট্রপতি আইনটিতে সই না করে ফেরত পাঠিয়েছেন। শ্রমিকদের অধিকারের প্রতি সরকারের সদিচ্ছার প্রতিফলন হিসেবেই এমনটি হয়েছে। গতকাল ৬ ডিসেম্বর দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, কথা হচ্ছে, শ্রম আইনটা যখন সংসদে পাস হয়, পাস করার আগে এটি যখন সংসদে যায়, তখন একটা ত্রুটি ছিল। দেখা গেছে, এটা অন্য কোনো ত্রুটি না, এটা টাইপিংয়ের ত্রুটি। সেটা হচ্ছে, একজায়গায় শ্রমিকদের সাথে যদি মালিকরা বেআইনি আচরণ করেন, তাহলে তাদের জন্য একটি সাজার কথা আইনের মধ্যে আছে। সেটা একটু মিসপ্লেস হয়ে গিয়েছিল। যেটা ২৯৪-এর এক হওয়ার কথা ছিল, সেটা সেরকম না হয়ে অন্যরকম হয়েছে।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন, অনেকগুলো বিল খুব তাড়াতাড়ি পাস হয়েছিল গত সংসদে। সে কারণে এ ভুলটা পরে ধরা পড়েছে। যে কারণে শ্রম মন্ত্রণালয় জিনিসটা রাষ্ট্রপতির কাছে সইয়ের জন্য গেছে, তখন এটা যেহেতু পরিলক্ষিত হয়েছে যে, শ্রমিকদের অধিকার ক্ষুণœ হয়ে যেতে পারে, সে জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে ভুলের বিষয়টি উপস্থাপন করা হয়েছে। তখন আইন অনুসারে বিলটিতে সই না করে আবার জাতীয় সংসদে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
আনিসুল হক বলেন, যেহেতু এটি সংসদে পাস হয়ে গেছে এবং এই জায়গাটুকু সংশোধন করতে হবে। এই সংশোধনের জন্য আইনটি আবার সংসদে যেতে হবে। তার মানে হচ্ছে, যেহেতু এখন তফসিল ঘোষণা হয়ে গেছে এবং বর্তমান সংসদে আর অধিবেশন হবে না, সেহেতু নির্বাচনের পর যে নতুন সংসদ বসবে, সেখানে এটা উপস্থাপন করা হবে এবং ভুল সংশোধন করে শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষা করা হবে।
আইনমন্ত্রী বলেন, সরকার যখন দেখতে পেল যে, শ্রমিকদের যে অধিকার দেয়া হয়েছিল, তাতে কিছু ত্রুটি হয়ে গেছে এবং সেটা শ্রমিকদের অধিকার খর্ব করবে, এ জন্য সরকার এটা রাষ্ট্রপতির কার্যালয়কে জানিয়েছে। রাষ্ট্রপতি তার আইনি বিচারে সঠিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এখন এটা জাতীয় সংসদে পাঠানোর জন্য যেটা করা হবে, সেটা হচ্ছে আবার সংসদে উপস্থাপন করা হবে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top