স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করলেন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সুখন

Untitled-2-copy-11.jpg

খুলনার দর্পণ ডেস্ক : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান সুখন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। গতকাল ২৭ নভেম্বর বেলাা ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে তিনি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোঃ কাউসার আহমেদ বলেন, ‘আজ (সোমবার) ৩টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামানের নামে মনোনয়নপত্র তোলা হয়। তার পক্ষে মোঃ বকুল মিয়া নামের একজন মনোনয়নপত্রটি সংগ্রহ করেছেন।’
এর আগে, দুপুর ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতে পুলিশের করা একটি বিস্ফোরক মামলায় হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন তিনি। আদালত তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
নাসিরনগর থানা সূত্রে জানা গেছে, গত ২ নভেম্বর রাত আটটার দিকে নাসিরনগর উপজেলা সদরের কাঁশফুল রেস্তোরাঁর সামনে সরকারি কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগ এনে বিস্ফোরক আইনে ৩৮ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করে উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুপন নাথ। সরকারি কাজে বাধা প্রদান, হত্যার উদ্দেশ্যে বিস্ফোরকদ্রব্য ব্যবহার ও পুলিশ সদস্যের আহতের ঘটনায় হওয়া ওই মামলায় একরামুজ্জামানকে ৪ নম্বর আসামি করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে ককটেল ও দেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
সোমবার সকাল পৌনে ১০টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জজ আদালতে আসনে একরামুজ্জামান। আদালতে তার পক্ষে আইনজীবী আলী আজমের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন শুনানিতে অংশ নেন।
একরামুজ্জামানের পক্ষের আইনজীবী আলী আজম বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হওয়া বিস্ফোরক আইনের মামলার তারিখ গত ২ নভেম্বর উল্লেখ করা হয়। কিন্তু ঘটনার সময় একরামুজ্জামান ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উপস্থিত ছিলেন না। কারণ গত ২ নভেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি একটি মামলায় হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার ওই আদালত তাকে জামিন দিয়েছেন। এই প্রমাণপত্রসহ আরও অন্যান্য প্রমাণপত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে পেশ করা হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত সবকিছু বিবেচনা করে বিস্ফোরক আইনের ওই মামলায় জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (তৃতীয় আদালত) রকিবুল হাসান তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন।
সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামান বলেন, আমি জামিন পেয়েছি। ঢাকায় যাচ্ছি। নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া নিয়ে এই মুহূর্তে বলার মতো কিছুই নেই। এখনই সবকিছু স্পষ্ট করতে চাচ্ছি না।
উল্লেখ্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনে বর্তমান সংসদ সদস্য বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম। এবারও তিনি আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। তবে এই আসনে মাঠ পর্যায়ে একরামুজ্জামানের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top