সেবা করার সুযোগ দিতে নৌকায় ভোট দিন : খুলনায় বিশাল জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

Untitled-14-copy-2.jpg

খুলনার দর্পণ ডেস্ক : আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকের বাংলাদেশ বদলে যাওয়ার বাংলাদেশ। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে আবারও নৌকায় ভোট দিন।
তিনি বলেন, বিএনপি-জামায়াত এই দেশে নির্বাচন হতে দিতে চায় না। তারা দেশে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে চায়।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে খুলনা সার্কিট হাউজ মাঠে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিভাগীয় জনসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, যারা আগুন দিয়ে মানুষ মারে, তাদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না। আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে, কেউ যদি গাড়িতে আগুন বা মানুষের গায়ে আগুন দিয়ে পোড়াতে চেষ্টা করে, ওই হাত ওই আগুনে পুড়িয়ে দেবেন, উপযুক্ত শিক্ষা দিয়ে দেবেন, যেন আর কেউ সাহস না পায় দেশের মানুষের ক্ষতি করতে।
বিএনপির নির্বাচনে আসতে না চাওয়ার বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিএনপি-জামায়াত ২০০৮ নির্বাচনে ২৯টি আসন পেয়েছিল। তারা জানে, তাদের নেতা নেই, মু-ুহীন দল। তাদের এক নেতা পলাতক আসামি, এক নেতা কারাগারে।
নেতাকর্মীদের সজাগ থাকার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এলাকায় আওয়ামী লীগসহ সহযোগী সংগঠনগুলো মানুষের নিরাপত্তা দেবে। আপনারা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে কাজ করবেন।
বিএনপি-জামায়াতকে সন্ত্রাসী সংগঠন আখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিএনপি-জামায়াত মানে সন্ত্রাসী। এরা মানুষের জন্য রাজনীতি করে না। মানুষ খুন বিএনপি-জামায়াতের একমাত্র গুণ। আগামীতে আরেকবার দেশের সেবা করার সুযোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আরেকবার সেবা করার সুযোগ দেবেন।
তিনি বলেন, নৌকা স্বাধীনতা দিয়েছে, নৌকা উন্নয়ন দিয়েছে, নৌকা মার্কায় ভোট দিয়েছেন বলেই দেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। এই নৌকা দেবে ২০৪১ সালের স্মার্ট বাংলাদেশ। বারবার বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিয়েছে, সরকার গঠন করেছি, জনগণের সেবা করার সুযোগ পেয়েছি। আমার তো চাওয়া-পাওয়ার কিছু নেই। আমি শুধু এদেশের মানুষের ভাগ্য গড়তে চাই।
জনসভার শুরুতে খুলনার বিভিন্ন এলাকায় নির্মাণ সমাপ্ত ২ হাজার ৩৬৯ কোটি ৬২ লাখ টাকার ২৪টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ২২০ কোটি ৮২ লাখ টাকার পাঁচটি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী।
জনসভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৯৬ সালে আমরা ক্ষমতায় আসার পর মোংলা সমুদ্রবন্দরসহ এ অঞ্চলের স্বাস্থ্য, শিক্ষা, যোগাযোগ, কৃষিসহ বিভিন্ন সেক্টরে উন্নয়ন প্রকল্প চালু করেছিলাম। কিন্তু ২০২১ সালে বিএনপি জোট ক্ষমতায় আসার পর সেগুলো এক এক করে বন্ধ করে দেয়। আর এখন মোংলা বন্দরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। এখন বন্দরে ভারত, নেপাল, ভূটানসহ বিভিন্ন দেশের জাহাজ আসছে। এছাড়া খুলানা-মোংলা রেলপথ, খুলনা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে রেলে করে রাজধানীতে যাওয়া, আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতাল, ক্যান্সার হাসপাতাল, সদর হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসা, রাস্তাঘাট, সেতু কালভার্টসহ সব সেক্টরে স্মরণকালের উন্নয়ন হয়েছে। এছাড়া নদী ভাঙন রোধে বেড়িবাঁধের উন্নয়ন ও নদীর নাব্যতা রোধে নিয়মিত ড্রেজিং করা হচ্ছে। সারা দেশের উন্নয়ন নিয়ে তিনি বলেন, উন্নয়ন খাতে আমরাই সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দিয়ে কাজ করছি।
প্রধানমন্ত্রী গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির কর্মকা-ের কথা উল্লেখ করে বলেন, আপনারা দেখেছেন, কীভাবে পুলিশকে মাটিতে ফেলে পিটিয়ে হত্যা করেছে। বেহুঁশ হয়ে গেছে তা-ও ছাড়েনি। সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহ করতে গেছে তাদেরও ছাড়েনি। সাংবাদিকদের পিটিয়ে হাত-পা ভেঙে দিয়েছে। রাজারবাগ পুলিশ লাইনে ঢুকে সেখানে হাসপাতাল, পাশাপাশি কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স ভেঙেছে, পুড়িয়ে দিয়েছে। ওদের মধ্যে মনুষ্যত্ববোধ আছে বলে আমি মনে করি না। এমনকি একজন অন্তঃসত্ত্বা মহিলা তিনি যাচ্ছেন চিকিৎসা করাতে সেই অ্যাম্বুলেন্স পর্যন্ত পুড়িয়ে দিয়েছে। এভাবে মানুষ পোড়ানো, মানুষের প্রতি অন্যায় হয়েছে ২০১৩ সালে। তখন হাজার হাজার মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে। হাজার হাজার গাড়ি পুড়িয়েছিল, রেল পুড়িয়েছিল, সরকারি অফিস পুড়িয়েছিল, স্কুল পুড়িয়েছিল। এমনকি নির্বাচনের সময় নির্বাচনী কেন্দ্র পুড়িয়েছিল। জনগণ বাধা দেয়ার ফলে তারা সফল হতে পারেনি।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে তখন জনগণের উন্নয়ন হয়। দুর্ভাগ্যের বিষয় বিএনপি মানে সন্ত্রাসী কর্মকা-। বিএনপি-জামায়াতের কাজই হচ্ছে আগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মারা। মানুষ খুন তাদের একমাত্র গুণ। বিএনপি-জামায়াতের আর কোনো গুণ নেই। ২৮ অক্টোবর কিভাবে তারা পুলিশকে মাটিতে ফেলে পিটিয়ে হত্যা করেছে। বেহুঁশ হয়ে গেছে তাও ছাড়েনি। ৪৫ জন পুলিশ আহত হয়েছে। সাংবাদিকদেরও ছাড়েনি। সাংবাদিকদের তারা পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠিয়েছে। রাজারবাগ পুলিশ স্টেশনে ঢুকে হাসপাতালে আক্রমণ করেছে। কয়েকটা অ্যাম্বুলেন্স ভেঙেছে, পুড়িয়ে দিয়েছে।
বক্তৃতা করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, বঙ্গবন্ধুর ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, সেখ সালাউদ্দিন জুয়েল এমপি, শেখ সারহান নাসের তন্ময় এমপি, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিকবিষয়ক উপদেষ্টা ডঃ মশিউর রহমান, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই আলম চৌধুরী লিটন এমপি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উল আলম হানিফ, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম, নড়াইল-১ আসনের এমপি মাশরাফি বিন মোর্ত্তজা, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী আ ফ ম রুহুল হক এমপি, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এমপি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী সম রেজাউল করিম এমপি, বন ও পরিবেশ উপমন্ত্রী হাবিবুর নাহার এমপি, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য নির্মল কুমার চ্যাটার্জী, বাগেরহাট-৪ আসনের এমপি আমিরুল আলম লিটন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সদস্য খায়রুজ্জামান কল্পনা, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ভূঁইয়া এনায়েত উদ্দিন, ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিঠু, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, বটিয়াঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম, সংরক্ষিত আসনের এমপি অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া ঝর্ণা, খুলনা-৫ আসনের এমপি নারায়ন চন্দ্র চন্দ, খুলনা-৪ আসনের এমপি আবদুস সালাম মূর্শেদী, খুলনা-৬ আসনের এমপি আখতারুজ্জামান বাবু, নগর আওয়ামী লীগের সদস্য শিল্পী আক্তার, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি বি এম জাফর, জেলা যুবলীগের সভাপতি চৌধুরী মোহাম্মদ রায়হান ফরিদ, খুলনা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি শেখ মোঃ আবু হানিফ, মহানগর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ পারভেজ হাওলাদার, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেল।
সমাবেশ সঞ্চালনা করেছেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, জেলা সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ সুজিত অধিকারী, সদর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডঃ সাইফুল ইসলাম ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এসএম কামরুজ্জামান জামাল।
প্রধানমস্ত্রী বলেন, বাংলার মানুষকে আমার আপনজন হিসেবে নিয়েছি। বাংলার মানুষের মাঝেই আমি ফিরে পেয়েছি হারানো বাবা-মা, ভাইয়ের ¯েœহ। বাংলাদেশের জনগণই আমার পারিবার। জনগণকে পরিবার হিসেবে আপন করে নিয়েছি। তাই তাদের তাদের কল্যাণের জন্যই আমি কাজ করেছি।
শেখ হাসিনার ৩৫ মিনিটের বক্তব্য : জনসভা মঞ্চে তিনি বেলা সাড়ে ৩টার পর উঠলেও বক্তৃতা শুরু করেন বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে। আর শেষ করেন ৪টা ৪৫ মিনিটে। এই ৩৫ মিনিটের বক্তৃতার শুরুতেই তিনি বলেন, সমাবেশস্থল ছাড়া যারা দূরে বসে এই সমাবেশ দেখছেন এবং অন্যান্য যারা দূরে অবস্থান করছেন তারা সকলে আছেন আমার হৃদয়ে। এরপর তিনি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ ১৫ আগস্টের শহিদ, জাতীয় চার নেতা, শহিদ মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্যান্যদের গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। এরপর অতিথিদের সম্বোধন করেই শুরু করেন মূল বক্তব্য। আর আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোট চেয়ে শেষ করেন এভাবে, রিক্ত আমি সিক্ত আমি দেবার কিছু নাই, আছে শুধু ভালোবাসা দিয়ে গেলাম তাই। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
মিছিলের নগরী খুলনা : প্রধানমন্ত্রী বিকেল ৪টার দিকে ভাষণ দিলেও দুপুর ১টার পরপরই পুরো সাকিট হাউজ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। শিশু থেকে বয়স্ক, প্রতিবন্ধী সকল শ্রেণির মানুষ প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে যোগদান করেন। সর্বশেষ রাজনৈতিক সফরে প্রধানমন্ত্রী খুলনায় আসেন ২০১৮ সালের ৩ মার্চ একই জায়গায় তিনি ভাষণ দিয়েছিলেন।
সমাবেশে আসা জুয়েল নামে এক রিক্সা চালক জানান, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনতে এসেছি। তাকে দূর থেকে একটু দেখার ইচ্ছা ছিল। সমাবেশস্থলের পাশের একটি মোড়ে এলইডি স্কিনে খুব কাছ থেকেই তার ভাষণ সরাসরি শুনে ভালো লেগেছে। সোনাডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা বশির জানান, জ্বালাও পোড়াও আন্দোলন রুখতে প্রধানমন্ত্রীকে আবার দরকার। তিনি বলেন, যারা আগুন দিয়ে মানুষ হত্যার মতো কাজ করে তাদের রুখে দিতে হবে। এতে করে আমাদের মধ্যে আরও বেশি সাহস হয়েছে। কেসিসির কাউন্সিলর গোলাম রব্বানী টিপু জানান, আওয়ামী লীগের সময়কালে খুলনার মানুষ যত সুবিধা পেয়েছে তাতে আমরা খুলনাবাসী কৃতজ্ঞ। রাস্তা-ঘাট, ট্রেন, হাসপাতাল, শিক্ষা ব্যবস্থাসহ সরকারি এমন কোনো উন্নয়ন নেই খুলনায় হয়নি। বিধবা ভাতা, শিক্ষা উপবৃত্তিসহ অনেক সুযোগ-সুবিধা পেয়েছি আমরা। তারই বহিঃপ্রকাশ এই জনসভায় লাখো মানুষের ঢল।
বেসরকারি চাকরিজীবী টুটপাড়ার বাসিন্দা আশরাফুল জানান, খুলনাবাসীর জন্য প্রধানমন্ত্রীর দরদ আছে সেটা আবারও প্রমাণ হলো। তিনি খুলনাবাসীকে খালি হাতে ফিরিয়ে দেননি। তিনি অনেকগুলো প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন। ভবিষ্যতে খুলনাবাসী আবারও প্রধানমন্ত্রীর পাশেই থাকবে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে কেন্দ্র করে গতকাল সকাল থেকে খুলনার রাজপথ মিছিলের নগরীতে পরিণত হয়ে যায়। খুলনাসহ পাশর্^বর্তী বিভিন্ন জেলা থেকে নেতাকর্মীরা ঝাঁকে ঝাঁকে মিছিল নিয়ে আসতে শুরু করে। দূরবর্তী এলাকার মানুষরা বাস, ট্রেন ও লঞ্চে করে খুলনার জনসভায় যোগ দেন। সব থেকে আকর্ষণীয় ছিল নারী কর্মীদের মিছিলের দৃশ্য। একই রঙের শাড়ি পড়ে মিছিলের স্লোগান দিতে দিতে নারী কর্মীরা সার্কিট হাউজ মাঠে প্রবেশ করে। এছাড়া আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বিভিন্ন রঙের গেঞ্জি, টুপিসহ দলে দলে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনার আগমন-শুভেচ্ছার স্বাগতম’ এই স্লোগানে মাঠে প্রবেশ করে। তাদের পরনে ছিল সাদা, হলুদ, লাল রঙসহ নানান ধরনের টি-শার্ট ও ক্যাপ। এছাড়াও প্রতিটি সড়কে পদ্মা সেতু ও নৌকার প্রতিকৃতিতে ছোট-বড় কাঠ, কাগজের নৌকা ও পদ্মা সেতুর প্রতিকৃতি বানিয়ে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে যোগদান করেন নেতৃবৃন্দ।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর জনসভায় তিন স্তরের নিরাপত্তাসহ নগরীতে যানবাহন চলাচলে কঠোর নির্দেশনা পালন করেন কেএমপি পুলিশ। তাদের সাথে সহযোগিতা করেছেন পাশর্^বর্তী জেলা পুলিশ, নৌ পুলিশ। জনসভাস্থলে ছিল আরও জোরদার নিরাপত্তা। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষ্যে একদিনের জন্য ১০ জোড়া স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থাও করেছিল রেলওয়ে বিভাগ। এসব ট্রেন নওয়াপাড়া, যশোর, বেনাপোল, চুয়াডাঙ্গা, কোটচাঁদপুর, আলমডাঙ্গা, মোবারকগঞ্জ ও কুষ্টিয়া থেকে যাত্রী নিয়ে ছেড়ে আসে। পাশাপাশি খুলনার ভৈরব নদের জেলখানা, রূপসা ঘাটসহ তিনটি ঘাটে ১০টি ফেরি চলাচল করে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top