ক্রীড়া ডেস্ক : ক্রিকেট বিশ্বকাপের চলমান আসরে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল বাজে পারফরম্যান্স করায় বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। গতকাল রবিবার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খোন্দকার হাসান শাহরিয়ার তাদের এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশে বলা হয়, মাঠের খেলার বাইরে এবারের বিশ্বকাপে সাকিব আল হাসান টুর্নামেন্টের মাঝে দলকে ফেলে দেশে এসেছিলেন অনুশীলন করতে। এর আগেও তিনি বিভিন্ন সময়ে খেলা চলাকালীন সময়ে বিজ্ঞাপনের শুটিং করে সমালোচিত হয়েছিলেন। যা কাম্য নয়। সাকিবের মতো একজন উঁচু মাপের খেলোয়াড়ের কাছে সমগ্র জাতি আরও পেশাদারিত্ব ও দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশা করে।
নোটিশে আরও বলা হয়, বর্তমান ক্রিকেট বিশ্বে এমন কোনো ক্রিকেট বোর্ড সম্ভবত খুঁজে পাওয়া যাবে না, যারা সেমিফাইনাল খেলার স্বপ্ন নিয়ে বিশ্বকাপ দল গড়েছিল তাদেরই দেশসেরা ওপেনারকে দলের বাইরে রেখে। যে ওপেনারকে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডেকে নিয়ে অবসর থেকে খেলায় ফিরিয়েছিলেন। বিশ্বকাপ শুরুর দুই মাস আগে নিয়মিত অধিনায়ক তামিম ইকবাল দলের দায়িত্ব ছাড়েন। সেই ঘটনায় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড দলের বৃহত্তর স্বার্থে বিশ্বকাপের কথা চিন্তা করে সময়োপযোগী কার্যকর ভূমিকা রাখতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন। আবার ওপেনার লিটন দাসও ব্যক্তিগত কারণে (পুত্র সন্তানের জন্ম) দুইবার খেলা চলাকালীন সময়ে দেশে এসেছেন। পেশাদার দলে মানবিক কারণে একবার আসা মেনে নেয়া যায়। তাই বলে একাধিকবার! ম্যাচ গুরুত্বহীন হলেও পেশাদার টিমে এমনটা চলতে পারে না। ম্যানেজমেন্টের এমন শিথিল মানসিকতা চূড়ান্ত পেশাদার সময়ে আরও বেমানান। অথচ এ ক্ষেত্রেও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বোর্ড।
নোটিশ প্রাপ্তির ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে সম্পূর্ণ কোচিং স্টাফ ও নির্বাচক কমিটি বাতিল করবেন। একইসঙ্গে আইসিসি পুরুষ বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০২৩ এ ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধানে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করবেন। এছাড়াও উন্নত প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে নিজস্ব কোচ তৈরি, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাগুলো যে ধরনের উইকেটে হয় তার অন্তত কাছাকাছি মানের উইকেটে ঘরোয়া লিগে আয়োজন, স্কুল ও বয়সভিত্তিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ও প্রশিক্ষণের আয়োজনের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। অন্যথায় প্রচলিত আইন অনুসারে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
পাপন-সাকিবের পদত্যাগ চেয়ে লিগ্যাল নোটিশ
