সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ……
বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১১ শতাংশ প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। যারা ধর্মীয়, জাতিগত ও লিঙ্গভিত্তিক পরিচয়ে অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে।
‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আইনগত সুরক্ষায় করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় অতিথিরা এসব তথ্য জানান।
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে খুলনার অ্যাম্বাসেডর হোটেলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় অতিথিরা বলেন, এসব জনগোষ্ঠী প্রতিনিয়ত শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, কর্মসংস্থান, আবাসন ও আইনি সহায়তার ক্ষেত্রে বিভিন্নভাবে বৈষম্যের শিকার হয়। পিছিয়ে পড়া এসব জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে ব্লাস্টসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে। তাদের অধিকার আদায়ের জন্য সরকার আইন প্রণয়ন করেছে। রাষ্ট্রের সব নাগরিকের জন্য সুযোগের সমতা আরও নিশ্চিত করা প্রয়োজন। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য বর্তমান সরকার খুব সচেতন।
তারা আরও বলেন, সরকার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য বিভিন্ন ভাতাও চালু করেছে। সরকারি সব সেবা সবার মধ্যে পৌঁছে দিতে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে সভা, সেমিনার ও উঠান বৈঠক করা হচ্ছে। দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে আমাদের সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মানুষদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জনসম্পদে পরিণত করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) খুলনা ইউনিটের পরিচালনা কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী বাদশা মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার মো. শরিফুল রহমান, সমাজসেবা দপ্তরের উপ-পরিচালক খান মোতাহার হোসেন, মহিলাবিষয়ক দপ্তরের উপ-পরিচালক হাসনা হেনা, যুব উন্নয়ন দপ্তরের উপ-পরিচালক মো. মোস্তাক হোসেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সহকারী পরিচালক জেসমিন সুলতানা প্রমুখ। স্বাগত দেন ব্লাস্ট খুলনা ইউনিটের সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট অশোক কুমার সাহা। ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন ব্লাস্টের পরিচালক শাহরিয়ার পারভীন।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন- ব্লাস্টের (অ্যাডভোকেসি ও কমিউনিকেশন) পরিচালক মাহবুবা আক্তার, খুলনা ইউনিটের স্টাফ ল’য়ার অ্যাডভোকেট ফাতেমা খন্দকার রীমা ও ইউনিসেফের প্রতিনিধি।
সভায় সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, আইনজীবী, দলিত জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি, এনজিও প্রতিনিধি, প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) এ সভার আয়োজন করে।