দুর্নীতির দায়ে ওসি ফিরোজ ও স্ত্রীর সাজা

OC-2307120657.jpg

নিজস্ব প্রতিবেদক……

দুদকের দায়ের করা মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় বরিশাল জেলার সাবেক ওসি ও গুলশান থানার সাবেক সাব-ইন্সপেক্টর ফিরোজ কবিরকে ৬ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং তার স্ত্রী সাবরিনা আহমেদকে ৪ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (১২ জুলাই) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমানের আদালত আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায় শেষে জামিনে থাকা এ দুই আসামিকে সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ফিরোজ কবিরকে কারাদণ্ডের পাশাপাশি অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির দ্বিগুণ অর্থাৎ এক কোটি ৭৪ লাখ ৩৪ হাজার ৩৮৮ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়েছে। ফিরোজ কবির কর্তৃক অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট সম্পত্তি অর্থাৎ ৮৭ লাখ ১৭ হাজার ১৯৪ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ফিরোজ কবিরকে অর্থদণ্ডের টাকা রায়ের দিন থেকে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ব্যর্থতায় তা দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউর ১৮৯৮ এর ৩৮৬ ধারা অনুযায়ী আদায়যোগ্য হবে।

সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাইফুল ইসলাম মিঠু সাজার বিষয়টি জানান।

জানা যায়, ফিরোজ কবির ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি হতে ২০১৬ সালের ৩১ মে পর্যন্ত এবি ব্যাংক গুলশান শাখার, ডাচ বাংলা ব্যাংক, গুলশান শাখার, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের গুলশান শাখার, ইসলামী ব্যাংক, গুলশান শাখা, ব্র্যাক ব্যাংক, গুলশান শাখার চলতি হিসাবের এবং তার স্ত্রী সাবরিনা আহমেদ ইভার নামে পরিচালিত ডাচ বাংলা ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাবে জ্ঞাত আয় বর্হভিূত সর্বমোট ৩০৯ দশমিক ৯৭ লাখ টাকা জমা করেন। তাদের ব্যাংক হিসাবে সমূহে পেশার সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বিপুল অংকের লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে। অধিকাংশ হিসাব খোলার সময় ফিরোজ কবির অর্থের উৎস চাকরি দেখিয়েছেন। কিন্তু যে ধরনের ও যে অংকের লেনদেন হয়েছে তা বেতন ভাতার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। অর্থের উৎস সম্পর্কে অভিযুক্তরা কোন সন্তোষজনক ব্যাখ্যা বা প্রমাণ দাখিলে ব্যর্থ হয়েছেন। এতে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয় যে, জমাকৃত উক্ত অর্থ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে দুর্নীতি ও ঘুষ সংক্রান্ত সম্পৃক্ত অপরাধলব্ধ।

এ অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক সৈয়দ আতাউল কবির ২০১৭ সালের ৩ অক্টোবর গুলশান মামলা করেন। মামলাটি তদন্তের পর ২০১৯ সালে দুদক এ মামলায় চার্জশিট দাখিল করে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top