খুলনায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি, সচেতনতায় গুরুত্বারোপ

khulna-2307111206.jpg

নিজস্ব প্রতিবেদক……

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একদিনে ১০ ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে হাসপাতালে মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে মোট ২৩ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। এছাড়া, গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন তিনজন।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক কর্মকর্তা (আরএমও) ডাক্তার সুভাষ রঞ্জন হালদার এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সুভাষ রঞ্জন জানান, চলতি বছরে খুলনায় সর্বমোট ৯০ জন রোগী ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বর্তমানে হাসপাতালে ২৩ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন।

খুলনার সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সূত্র জানায়, গতকাল সোমবার থেকে গত ২৪ ঘণ্টায় খুলনা জেনারেল হাসপাতালে নতুন করে কোনো ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়নি। তবে আগে থেকে এ হাসপাতালে খুলনার সদর ও বটিয়াঘাটা উপজেলার একজন করে মোট দুজন রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছে। সব মিলিয়ে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে সর্বমোট ১৪ জন রোগী এ হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এদিকে, খুলনা সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু সচেতনতা এবং আক্রান্ত এড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধকল্পে মহানগরী এলাকায় সচেতনতামূলক প্রচারণা বৃদ্ধিসহ নগরীতে মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম জোরদার করার জন্য কঞ্জারভেন্সি বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া, নিজ বাড়ির আঙিনা নিয়মিত পরিস্কার রাখার পাশাপাশি এডিস মশার বংশ বিস্তারের স্থানসমূহ অর্থাৎ ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, মাটির পাত্র, ডাবের খোসা, টিনের কৌটা ইত্যাদিতে পানি জমতে না দেয়ার জন্য সভায় নগরবাসীর প্রতি আহবান জানানো হয়েছে।

কেসিসি’র প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা প্রকৌশলী মো. আব্দুল আজিজ বলেন, খুলনা মহানগরী এলাকায় ডেঙ্গুর প্রকোপ রোধে গত রোববার কেসিসি’র কঞ্জারভেন্সী বিভাগে সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (যুগ্মসচিব) লস্কার তাজুল ইসলাম। সভায় ডেঙ্গু রোধে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।

খুলনার সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ বলেন, সারাদেশের ন্যায় খুলনাতেও ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। নুতন করে জেলায় ১০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। ডেঙ্গু প্রতিরোধে ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার ও মশার বংশবিস্তার রোধ করা প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, ডেঙ্গু একটি ভাইরাস জ্বর, এর থেকে সুস্থ হতে এন্টিবায়োটিক সেবনের কোনো প্রয়োজন নেই। খুলনা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল ও সব উপজেলা হাসপাতালে ডেঙ্গু শনাক্ত এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। তাই ডেঙ্গু হলে আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top