খুলনায় চাহিদার চেয়ে সাড়ে ৩ লাখ বেশি পশু প্রস্তুত

top-2306180424.jpg

নিজস্ব প্রতিবেদক……..

খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় এবার ৮ লাখ ২৮ হাজার ৯৯৮টি পশু কোরবানি হতে পারে। যার বিপরীতে প্রস্তুত করা হয়েছে ১১ লাখ ৮২ হাজার ৯৯৮টি পশু। ফলে এবারের ঈদে খুলনা বিভাগে চাহিদার তুলনায় সাড়ে ৩ লাখেরও বেশি পশু প্রস্তুত রয়েছে।

এদিকে, আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে খুলনার বিভিন্ন উপজেলায় পশুর হাট বসতে শুরু করেছে। শনিবার ছিল ডুমুরিয়ার শাহাপুরের হাট। তবে হাটগুলোতে কোরবানির পশু তেমন একটা কেনা-বেচা শুরু হয়নি। ক্রেতারা পশু দেখছেন এবং দরদাম যাচাই করছেন।

অপরদিকে, খুলনা নগরীর সর্ববৃহৎ পশুর হাট আগামী ২২ জুন থেকে নগরীর জোড়াগেটে শুরু হবে। খুলনা সিটি করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় এ হাট শুরুর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

খুলনা বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় প্রায় ৮ লাখ ২৮ হাজার ৯৯৮টি পশু কোরবানির সম্ভাবনা রয়েছে। খামারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে এই বিভাগে ১১ লাখ ৮২ হাজার ৯৯৮টি পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। যার মধ্যে ষাঁড় ৩ লাখ ৪৩ হাজার ৬৫৭ টি, বলদ ৪৪ হাজার ২৮৮ টি, গাভী ৬৩ হাজার ১৯২টি, মহিষ ৫ হাজার ৫৬টি, ছাগল ৬ লাখ ৯৭ হাজার ৮২৩ টি, ভেড়া ২৮ হাজার ৯৫৭ টি।

এছাড়া, মোট কোরবানির জন‌্য প্রস্তুত পশুর মধ্যে খুলনায় প্রায় ৯২ হাজার ৪০০টি, বাগেরহাটে প্রায় ১ লাখ ২ হাজার ৩০০টি, সাতক্ষীরায় প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার, যশোরে প্রায় ৮০ হাজার ১০০টি, ঝিনাইদহ জেলায় ২ লাখ ৫ হাজার, মাগুরায় ২৬ হাজার ৮৫০টি, নড়াইলে ৫৪ হাজার ৯০০টি, কুষ্টিয়ায় ১ লাখ ৭৭ হাজার ৭৫০টি, চুয়াডাঙ্গায় ১ লাখ ৩৮ হাজার ২৫০টি, মেহেরপুরে ১ লাখ ৯০ হাজার ৫০০টি রয়েছে।

খুলনার ডুমুরিয়ার গুটুদিয়ার খামারি মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের খামারে প্রায় ৫০টি গরু রয়েছে। যার মধ্যে ১০-১৫টি ষাঁড়। আকার ভেদে যার দাম ১ থেকে ৩ লাখ টাকা।

পাইকগাছার চাঁদখালি গ্রামের খোকন সরদার জানান, তার খামারে নানা আকারের ৫৫-৬০টি গরু রয়েছে। যেগুলো কোরবানির ঈদে বিক্রি করা হবে।

শাহপুর হাটে আসা কাবির হোসেন নামের এক ব্যাপারী বলেন, এবার গরুর দাম যে কোনো বছরের চেয়ে বেশি। যে কারণে গরু কিনে ব্যবসা করা খুবই কষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
খুলনা বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) ডা. মো. লুৎফর রহমান বলেন, খামারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে এ বিভাগে এবার ১১ লাখ ৮৩ হাজার গবাদিপশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। যদিও পশুর চাহিদা রয়েছে ৮ লাখ ২৯ হাজার। ফলে উদ্বৃত্ত রয়েছে ৩ লাখ ৫৪ হাজারের মতো। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে আরও ৩ লাখ ৫৪ হাজার পশু দেশের অন্য বিভাগে পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।

এদিকে, কোরবানির ঈদ উপলক্ষে নগরের জোড়াগেট এলাকায় খুলনা সিটি করপোরেশনের (কেসিসি) কোরবানির পশুর হাট বসবে ২২ জুন থেকে। এই হাট বিরতিহীনভাবে ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত চলবে। এটি খুলনা বিভাগের সবচেয়ে বড় পশুর হাট। এ হাটে খুলনা অঞ্চলসহ আশপাশের এলাকা থেকে খামারিরা কোরবানির পশু নিয়ে আসবেন। তবে ঈদের দুই এক দিন আগে এই হাটে বেচা-কেনা জমে বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top