ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট…….
ভারত থেকে আমদানির পর হিলিতে কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। এতে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা।
এর আগে সরকার পেঁয়াজ আমদানি বন্ধের নির্দেশ দিলে দফায় দফায় বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম। যা নিয়ন্ত্রণে আনতে টানা ৮২ দিন পর আবারও পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার।
সোমবার (৫ জুন) বিকেলে ভারতীয় তিনটি ট্রাকে করে ৬৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ হিলি স্থলবন্দর দিয়ে দেশে প্রবেশ করে।
মঙ্গলবার (৬ জুন) বিকেলে হিলির পানামা পোর্ট লিংকে ভারতীয় পেঁয়াজ বোঝাই অনেকগুলো ট্রাক সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। আমদানি করা এসব পেঁয়াজের মধ্যে নাসিক, ইন্দ্রো ও মধ্য প্রদেশের পেঁয়াজ রয়েছে।
এদিকে পেঁয়াজ আমদানির দ্বিতীয় দিনে কমেছে দেশীয় পেঁয়াজের দাম। পাইকারি বাজারে ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ মান ভেদে প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, যা খুচরা বাজারে ৩৭ থেকে ৪৩ টাকায় বিক্রি হবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
অপরদিকে পেঁয়াজ আমদানির প্রথম দিনে দেশীয় পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৭০ থেকে ৭৫ টাকা বিক্রি হলেও দ্বিতীয় দিনে তা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকায়। আমদানির আগে প্রতি কেজি দেশী পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হয়। এখন পর্যন্ত হিলি দিয়ে ৪০টি ট্রাকে এক হাজার মেট্রিক টনের বেশি ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি করা হয়েছে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানী-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর-রশিদ জানান, পেঁয়াজ আমদানির জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়। সরকারের অনুমতি পাওয়ার পরপরেই আমরা ব্যাংকগুলো থেকে এলসি নেওয়া শুরু করেছি। অনুমতি পাওয়ার দ্বিতীয় দিনে প্রচুর পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। আরও অনেক পেঁয়াজ আমদানি হওয়ার অপেক্ষায় পাইপ লাইনে আছে। পেঁয়াজ আমদানি কার্যক্রম চলতে থাকলে পেঁয়াজের দাম অর্ধেকে নেমে আসবে বলেও জানান তিনি।