ঈদের ছুটিতে সুন্দরবনে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত ৮ লঞ্চ

Khulna-1-2304220937.jpg

নিজস্ব প্রতিবেদক…….

বিশ্ব ঐতিহ্য ও বৃহত্তম ম্যানগ্রোভ সুন্দরবনে ঈদুল ফিতরের ছুটিতে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে বন বিভাগ। ঈদের পরদিন অথ্যাৎ আগামীকাল রোববার (২৩ এপ্রিল) থেকে মোংলা হয়ে ছোট ছোট জালি বোর্টে করমজল ও হারবাড়িয়া ভ্রমণ করতে পারবেন পর্যটকরা।

এদিকে, ২৪ ও ২৮ এপ্রিল তিন দিনের ভ্রমণের জন্য ৮টি লঞ্চ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এই লঞ্চে দুইবারে প্রায় ৫০০ পর্যটক থাকবেন সুন্দরবন ভ্রমণে।

স্থানীয়রা জানান, ঈদুল ফিতরের ছুটিতে সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের করমজল পর্যটন ও বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রটিতে লোকসমাগম হয় সবচেয়ে বেশি। এটি মোংলা থেকে নদী পথে সবচেয়ে কাছের পর্যটন কেন্দ্র। সারা বছরই এ কেন্দ্রটিতে দর্শনার্থীরা আসেন।

সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের করমজল পর্যটন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, ঈদের টানা ছুটিতে পর্যটকদের আগমন বাড়ে। এবারও তাই করমজল পর্যটন কেন্দ্রেও প্রস্তুতি রয়েছে।

তিনি বলেন, যদিও এখন পর্যটন মৌসুম নয়। এপ্রিল মাস সাধারণত ঝড় বৃষ্টি ও কালবৈশাখীর ছোবল থাকে। কিন্তু এ বছর তেমন বৃষ্টি নেই। তাই পর্যটক আসার সম্ভাবনা রয়েছে।

ট্যুর অ্যাসোসিয়েশন অফ সুন্দরবনের (টোয়াস) এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম কচি বলেন, ঈদুল ফিতরের ছুটিতে খুলনা থেকে ৮টি লঞ্চ সুন্দরবন ভ্রমণের জন্য প্রস্তুত রয়েছে। লঞ্চগুলো হচ্ছে- ৭৫ সিটের দ্যা ওয়েভে ৭১ জন, ৫০ সিটের সিলভার ক্রুজে ৩০ জন, ৪০ সিটের বন সাম্পানে ৩০ জন, ১০ সিটের সানওয়ে ২-এ ৯ জন, ১১ সিটের গাংচিলে ৯ জন, ১৮ সিটের বাওয়ালীতে ১৫ জন, ৫০ সিটের উৎসবে ৪০ জন ও ৫৬ সিটের আরালসিতে ৫৬ জন পর্যটক নিয়ে সুন্দরবন ভ্রমণ করবে।

২৪ এপ্রিল ও ২৮ এপ্রিল এ লঞ্চগুলো যাত্রার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। এগুলো করমজল, হারবড়িয়া, কটকা ও কচিখালী রুটে ভ্রমণ করবে। এছাড়া মোংলা থেকে সুন্দরবনের করমজল ও হারবারিয়া ভ্রমণের জন্য বোট, জাহাজ ও লঞ্চ রয়েছে।

টোয়াস-এর সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আজম ডেভিড বলেন, এ মাসটাতে সুন্দরবন ভ্রমণে পর্যটকদের আগ্রহ ছিল না। তবে ঈদুল ফিতরের ছুটির কারণে অনেকেই ভ্রমণে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।

তিনি আরও বলেন, সুন্দরবনের গভীরের স্পটগুলোতে যাত্রী ওঠানামার সমস্যা রয়েছে। বন বিভাগকে জানানো হলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। বন বিভাগ আশপাশের স্পটগুলোতে সংস্কার ও মেরামত করলেও গভীর সুন্দরবনে সংস্কার করে না। ফলে ট্যুর অপারেটরদেরই নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় পর্যটকদের নিরাপদ ওঠানামার ব্যবস্থা করতে হয়।

পূর্ব সুন্দরবনের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) বেলায়েত হোসেন বলেন, সুন্দরবনে পর্যটক টানতে নানা প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। পর্যটন স্পটগুলো আকর্ষণীয় করতে ২৫ কোটি টাকার প্রকল্প এগিয়ে চলছে। এ কাজ শেষ হলে পর্যটকদের সুন্দরবন ভ্রমণের আগ্রহ আরও বাড়বে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top