নয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ঢাকা ও চুয়াডাঙ্গায়

1681480791.1.jpg

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট …..
গত নয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছে ঢাকা ও চুয়াডাঙ্গায়। ২০১৪ সালের পর শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) থার্মোমিটারের পারদ সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে।

আবহাওয়া অফিসে জানিয়েছে, ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, ২০১৪ সালের ২৫ এপ্রিলের পর এটাই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। সে সময় ঢাকায় ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রিতে উঠেছিল তাপমাত্রা। আর চুয়াডাঙ্গায় উঠেছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এর আগে ২০২১ সালে ঢাকা ও চুয়াডাঙ্গায় তার আগের ৭ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ওই বছর ২৫ এপ্রিল। সেদিন ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছিল ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আর ২০২২ সালের ১৫ এপ্রিল রাজশাহীতে থার্মোমিটারের পারদ উঠেছিল ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রিতে, যা তার আগের আট বছরের মধ্যে ছিল রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।

১৯৯৫ সালে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল চুয়াডাঙ্গা ও ঈশ্বরদীতে ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তারপর আর এতো তাপমাত্রা হয়নি। ঢাকায় ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রিতে তাপমাত্রা ওঠেছিল ১৯৬০ সালে।

আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শুক্রবার মোংলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস ফরিদপুরে ৪১ দশমিক ১ ডিগ্রি, রাজশাহীতে ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, খুলনা ও কুমারখালীতে ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানিয়েছেন, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান
করছে।

এই অবস্থায় শনিবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

খুলনা বিভাগসহ ঢাকা, ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা ও পটুয়াখালী জেলাসমূহের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।
দেশের অবশিষ্টাংশের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

আগামী দুদিনে আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। বর্ধিত পাঁচদিনের শেষের দিকে দেশের উত্তরপূর্বাঞ্চলে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top