কারাগারে থেকেও পুলিশের ওপর হামলার আসামি বিএনপি নেতা!

Khulna-1-2304031257.jpg

নিজস্ব প্রতিবেদক…..

খুলনায় একমাস ধরে কারাগারে বন্দি এক বিএনপি নেতাকে পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার মামলায় আসামি করা হয়েছে।

গত শনিবার রাতে খুলনা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অজিত কুমার দাস বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার ৪০ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি বিএনপি নেতার নাম গাজী আফসার উদ্দিন (৪৫)। তিনি বর্তমানে খুলনা মহানগর বিএনপির একজন সদস্য।

গত শনিবার রাতে খুলনা থানার এসআই অজিত কুমার দাসের দায়ের করা মামলায় দেখা যায়, কারাবন্দি গাজী আফসারের নাম রয়েছে ৪০ নম্বরে। এ মামলায় তার পিতার নাম অজ্ঞাত এবং ঠিকানা দেওয়া হয়েছে, সাং জিন্নাপাড়া ৪র্থ গলি, থানা লবণচরা, জেলা খুলনা।

খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনা জানান, গাজী আফসার একসময় নগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি ছিলেন। একমাস আগে নগরীর লবণচরা থানা পুলিশ একটি মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে খুলনা আদালতে চালান দেয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যে উচ্চ আদালত (হাইকোর্ট) থেকে গাজী আফসারের জামিন হয়েছে। কিন্তু এখনো উচ্চ আদালতের কাগজপত্র না পৌঁছায় তিনি জামিনে মুক্তি পাননি। কারাগারে বন্দি থাকা অবস্থায় গাজী আফসারের বিরুদ্ধে পুলিশ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দায়ের করেছে।

গাজী আফসারের আইনজীবী অ্যাডভোকেট তৌহিদুর রহমান তুষার বলেন, গত ২ মার্চ খুলনা থানা পুলিশ গাজী আফসারকে একটি নাশকতা মামলায় গ্রেপ্তার করে। পরদিন তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। আদালত তার জামিন আবেদন না-মঞ্জুর করেন। ৩ মার্চ থেকে গাজী আফসার কারাগারে রয়েছেন। কারাগারে থেকে তিনি কীভাবে পুলিশের ওপর হামলা করলেন?

খুলনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে মামলা হওয়ায় হয়তো তার নাম (গাজী আফসার) মামলার এজাহারে এসে গেছে। তদন্তের পর তার নাম মামলা থেকে বাদ দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে আমরা দেখবো।

প্রসঙ্গত, গত শনিবার বিকেলে নগরীর কেডিঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ের সামনে বর্তমান সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন ও খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়। কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে বিএনপির ১২ জন ও পুলিশের ১০ জন সদস্য আহত হয় বলে দাবি করা হয়। সেসময় পুলিশ ৩৫ রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে বিএনপির ৮ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে। ওই দিন রাতে খুলনা সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) অজিত কুমার দাস বাদী হয়ে পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে বিএনপির ৮০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেন।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top