সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট ………
সংসদীয় আসনের সীমানা পুনঃনির্ধারণের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে কারও কোনো আপত্তি থাকলে আগামী ১৯ মার্চের মধ্যে আবেদন জমা দিতে বলেছে সংস্থাটি।
রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।
ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলম সাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে- গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১১৯ এর দফা (১) এর উপ-দফা (গ) এবং জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইন, ২০২১ এর ধারা ৮ এর উপ-ধারা (১) (খ) অনুযায়ী জাতীয় সংসদ সদস্যের নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে এলাকাভিত্তিক নির্বাচনী এলাকাসমূহের সীমানা আইনের ধারা ৬ এর উপ-ধারা (২) অনুসারে প্রশাসনিক সুবিধা, আঞ্চলিক অখণ্ডতা এবং জনসংখ্যার বাস্তব বিভাজনকে যতদূর সম্ভব বিবেচনায় রেখে প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনঃনির্ধারণ করে ধারা ৬ এর উপ-ধারা (৩) অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন একটি প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করছে এবং তালিকাটি সম্পর্কে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার বাসিন্দাদের থেকে লিখিত দাবি/আপত্তি/সুপারিশ/মতামত আহ্বান করছে।
সীমানা পুনঃনির্ধারণে নিম্নোক্ত পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে:
(ক) প্রতিটি জেলার ২০১৮ সালে নির্ধারিত মোট আসন সংখ্যা অপরিবর্তিত রাখা;
(খ) প্রশাসনিক ইউনিট বিশেষ করে উপজেলা এবং সিটি কর্পোরেশন ওয়ার্ডের যথাসম্ভব অখণ্ডতা বজায় রাখা;
(গ) ইউনিয়ন পরিষদ বা পৌর এলাকার ওয়ার্ড একাধিক সংসদীয় আসনে বিভাজন না করা;
(ঘ) যে সকল নতুন প্রশাসনিক এলাকা সৃষ্টি হয়েছে বা সম্প্রসারণ হয়েছে বা বিলুপ্ত হয়েছে তা অন্তর্ভুক্ত করা; এবং
(ঙ) ভৌগলিক বৈশিষ্ট্য ও যোগাযোগ ব্যবস্থা যথাযথ বিবেচনায় রাখা।
কোনো সংক্ষুব্ধ বা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি আগামী ১৯ মার্চের মধ্যে কোনো আসনের পুনঃনির্ধারিত নির্বাচনী এলাকার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন বরাবর তার লিখিত দাবি/আপত্তি/সুপারিশ/মতামত দাখিল করতে পারবেন। তবে দাবি/আপত্তি/সুপারিশ/মতামত এ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত কোনো আসনের সীমানা সংক্রান্ত হতে হবে এবং দাবি/আপত্তি/সুপারিশ/মতামত সংক্রান্ত দরখাস্ত ৫ (পাঁচ) প্রস্থ দাখিল করতে হবে। নির্ধারিত তারিখের পর কোনো দাবি/আপত্তি/সুপারিশ/মতামত সংক্রান্ত দরখাস্ত গ্রহণ করা হবে না।
নির্বাচন কমিশন সব দাবি/আপত্তি/সুপারিশ/মতামত প্রকাশ্য শুনানির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করবে। শুনানির বিস্তারিত কর্মসূচি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে যথা সময়ে জানানো হবে।