শিক্ষার্থীরাই গড়বে স্মার্ট বাংলাদেশ: পলক

1674830045.Natore-ICT-Minister-3.jpg

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট……..
আজকের শিক্ষার্থীরাই একদিন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলবে -বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।

শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে নাটোরের সিংড়ায় ১২ দিনব্যাপী ‘চলনবিল শিক্ষা উৎসব-২০২৩’ এর সম্মাননা ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।

এর আগে দুপুর থেকে সিংড়া রত্ন সম্মাননা, রত্নাগর্ভা মা সম্মাননা, মরণোত্তর গুণীজন সম্মাননা, অবসরপ্রাপ্ত ও স্মার্ট শিক্ষক সম্মাননা, উপজেলা স্মার্ট ও শতভাগ পাশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্মাননা, কর্ম জীবনে সফল যারা, কেমন তারা ও অদম্য মেধাবী সম্মাননা এবং শিক্ষা উৎসবের গণিত ও ইংলিশ ক্যাম্প সেরা এবং কৃতি ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম এম সামিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণের প্রধান সারথী হচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষার ডিজিটাল প্লাটফর্ম তৈরি করে দিয়েছেন বলে বাংলাদেশ বদলে গেছে। নতুন নতুন উদ্ভাবনের ফলে প্রতিনিয়ত যেমন বদলে যাচ্ছে বিশ্ব, সেই হাওয়া বাংলাদেশের পালেও লেগেছে।

তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিক্ষা ব্যয়কে খরচ নয়, বিনিয়োগ বলেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণে শেখ হাসিনা প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষার ডিজিটাল প্লাটফর্ম তৈরি করে দেন। ফলশ্রুতিতে বদলে গেছে বাংলাদেশ। বিগত ১৪ বছরে তথ্য প্রযুক্তি খাতে ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হয়েছে। ধারাবাহিক পথ পরিক্রমায় এখন আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে প্রবেশ করেছি।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের এবারের স্বপ্ন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে উচ্চ আয়ের উন্নত, উদ্ভাবনী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা। স্মার্ট নাগরিক, স্মার্ট অর্থনীতি, স্মার্ট সরকার এবং স্মার্ট সমাজ -এই চারটি ভিত্তির ওপরে প্রতিষ্ঠিত হবে স্মার্ট বাংলাদেশ।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মাইক্রো প্রসেসর ডিজাইন, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, রোবটিকস এবং সাইবার সিকিউরিটি -এই চারটি প্রযুক্তির বিকাশ ও সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্যে কাজ শুরু করেছেন। এ লক্ষ্যে প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলোকে গ্রিন, ক্লিন, সেফটি এবং স্মার্ট করে গড়ে তোলা হচ্ছে। এসব সুবিধা নিয়ে আজকের প্রজন্মের শিক্ষার্থীরাই সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হচ্ছেন আজকের শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণের সারথী।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ হাইকোর্টের বিচারপতি ফাহমিদা কাদের এবং শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা।

আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত আইজি মো. আতিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট শেখ ওহিদুর রহমান এবং সিংড়া পৌরসভার মেয়র মো. জান্নাতুল ফেরদৌস।

অনুষ্ঠানে বিচারপতি জাকিয়া সুলতানা এবং শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানাকে সিংড়া রত্ন সম্মাননা, রত্নাগর্ভা মা সম্মাননা, মরণোত্তর গুণীজন সম্মাননা, অবসরপ্রাপ্ত ও স্মার্ট শিক্ষক সম্মাননা, উপজেলা স্মার্ট ও শতভাগ পাশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সম্মাননা, কর্ম জীবনে সফল যারা, কেমন তারা ও অদম্য মেধাবী সম্মাননা এবং শিক্ষা উৎসবের গণিত ও ইংলিশ ক্যাম্প সেরা এবং কৃতি ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top