তথ্যমন্ত্রী যে অফিসে বোমা পাওয়া যায়, সেখানে তন্নতন্ন করে তল্লাশি স্বাভাবিক

information-20221213150107.webp

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক……….

নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তল্লাশির বিষয়ে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, যে অফিসে তাজা বোমা পাওয়া গেছে, সে অফিসে তন্নতন্ন করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তল্লাশি করবে এটা খুবই স্বাভাবিক। বোমার সঙ্গে সেখানে গ্রেনেড বা অন্যকোনো মারণাস্ত্র আছে কি না তা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দেখতেই হবে।

মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে ‘বঙ্গবন্ধুর তিন প্রজন্মের রাজনীতি’ শীর্ষক গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, যে অফিসে তাজা বোমা পাওয়া গেছে, সে অফিসে তন্নতন্ন করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তল্লাশি করবে এটা খুবই স্বাভাবিক। বোমার সঙ্গে সেখানে গ্রেনেড আছে কি না বা অন্য কোনো মারণাস্ত্র আছে কি না সেটি দেখতে যাওয়া স্বাভাবিক।

‘সেটি জিয়াউর রহমানের ফটোর বাক্সে আছে কি না কিংবা খালেদা জিয়ার ফটো বাক্সের মধ্যে ঢুকিয়ে রেখেছে সেটি তো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দেখতেই হবে’ বলেন তথ্যমন্ত্রী।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের স্কালপচারের (ভাস্কর্য) আয়না ভাঙা দেখিয়ে বলছে যেভাবে তছনছ করে…, তো জিয়াউর রহমানের স্কালপচারের যে ফাউন্ডেশন সেটার পেছনে কোনো কিছু লুকিয়ে রেখেছে কি না সেটা দেখতে হলে তো আয়না ভাঙতেই হবে। এছাড়া তো কোনো উপায় নেই। সুতরাং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্তের স্বার্থে সেখানে তল্লাশি চালিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, তল্লাশিকে তারা অতিরঞ্জিত করে বলছে, আসলে ১০ ডিসেম্বর তারা প্রচণ্ডভাবে ফ্লপ করেছে। ১০ ডিসেম্বর যে হাঁকডাক দিয়ে তারা সমাবেশের ডাক দিয়েছিল, সেটার তুলনায় কিছুই করতে পারিনি। ১০ লাখ মানুষের সমাবেশ করবে বলে বড়জোর ৫০ হাজারের মানুষের একটা সমাবেশ করেছে। তাও একটি গরুর হাটের ময়দানে। সে কারণে তারা মুখরক্ষার জন্য নানা ধরনের অভিযোগ অনুযোগ উপস্থাপনের চেষ্টা করছে।

সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সম্মেলন, সে দিন এ ধরনের গণমিছিলের ডাক দেওয়া একটি দূরভিসন্ধিমূলক। আর এভাবে যুগপৎ আন্দোলন, যৌথ আন্দোলন বিভিন্ন সময় তারা ডাক দেয়। গত ১৪ বছর ধরে তারা বিভিন্ন সময় ডাক দিয়েছে, তাদের ডাকে জনগণ সাড়া দেয়নি। এবারও যথারীতি তাই হবে।

সম্প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন দূতাবাসে দেওয়া চিঠির বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দূতাবাসে গিয়া বিএনপির পক্ষ থেকে অতিরঞ্জিত করে নানা বিষয় উপস্থাপন করা হয় এবং তাদের প্রমোট করা হয় যাতে তারা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলায়। তাদের সঠিক তথ্য সরবরাহ করার স্বার্থে ফরেন মিনিস্ট্রি থেকে সে তথ্যগুলো জানানো হয়েছে।

আরেক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এখন ইউরোপে আমানতের ওপর ব্যাংকের সুদের হার এক শতাংশ। মূল্যস্ফীতি কোনো কোনো দেশে ১০ শতাংশ, ৮ শতাংশ, ১১ শতাংশ। ৭০ শতাংশও আছে। তাহলে কি সেখানেও ব্যাংকের সুদের হার ১০, ২০ বা ৮০ শতাংশ করতে হবে। শুধু ব্যাংকের আমানতের সুদহার কখনো মূল্যস্ফীতির সঙ্গে তুলনা করে কোনো রিপোর্ট করা হলে, তাহলে সেটা মিস লিডিং রিপোর্ট। এতে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হয়। আমি মনে করি এ ধরনের বিভ্রান্তিকর রিপোর্ট করা সমীচীন নয়।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top