জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক……
৪০তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফলাফলের গেজেট প্রকাশ হয়েছে। এতে উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে ১ হাজার ৯২৯ জনকে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের বিভিন্ন ক্যাডারের প্রবেশ পদে নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালায়ের নবনিয়োগ শাখার সিনিয়র সচিব কে এম আলী আজম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ গেজেট প্রকাশ করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫ অনুসারে ননতুন নিয়োগ পাওয়া প্রার্থীদের বেতন হবে ২২০০০-৫৩০৬০ টাকা।
এতে বলা হয়, প্রার্থীদের লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র অথবা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ নিতে হবে। তাকে দুই বছর শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করতে হবে।
প্রার্থীদের আগামী ৪ ডিসেম্বর সংশ্লিষ্ট ক্যাডার নিয়ন্ত্রণকারী মন্ত্রণালয় বা বিভাগ কর্তৃক নির্দেশিত/পদায়িত কার্যালয়ে যোগদানের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এর আগে ৪০তম বিসিএসের চূড়ান্ত প্রজ্ঞাপন জারির জন্য সংশ্লিষ্ট প্রজ্ঞাপনটির কাগজপত্র রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের দপ্তরে পাঠিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের পর এটি প্রজ্ঞাপন আকারে প্রকাশ হয়।
চার বছরের বেশি সময় আগে ৪০তম বিসিএসের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)। স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পুলিশি যাচাইয়ের (ভেরিফিকেশন) সব প্রতিবেদন পেতে দেরি হওয়ায় প্রজ্ঞাপন প্রকাশে দেরি হয়েছে বলে জানিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্র।
২০১৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর পিএসসি ৪০তম বিসিএসের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। সেখানে মোট ১ হাজার ৯০৩ জন ক্যাডার নিয়োগ দেওয়ার কথা বলা হয়। ওই বিসিএসে আবেদন করেন ৪ লাখ ১২ হাজার ৫৩২ জন প্রার্থী।
২০১৯ সালের ৩ মে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে পরীক্ষা দেন ৩ লাখ ২৭ হাজার পরীক্ষার্থী। ওই বছরের ২৫ জুলাই প্রকাশিত ফলাফলে প্রিলিমিনারিতে উত্তীর্ণ হন ২০ হাজার ২৭৭ প্রার্থী।
২০২০ সালের জানুয়ারিতে লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়ে শেষ হয় ফেব্রুয়ারিতে। তখন দেশে করোনা মহামারি শুরু হলে লিখিত পরীক্ষা খাতা মূল্যায়নসহ অন্যান্য কার্যক্রমেও বিঘ্ন ঘটে। এরপর প্রায় এক বছর পিছিয়ে গত বছরের ২৭ জানুয়ারি লিখিত পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে উত্তীর্ণ হন ১০ হাজার ৯৬৪ জন।
দেশে নতুন করে করোনা সংক্রমণের প্রাদুর্ভাব বাড়ায় একে একে পাঁচবার মৌখিক পরীক্ষার সময়সূচি পরিবর্তন করে পিএসসি। চলতি বছরের ৩০ মার্চ চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ১ হাজার ৯৬৩ জনকে বিভিন্ন ক্যাডারে নিয়োগের সুপারিশ করে পিএসসি।