প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষা ফল প্রকাশের আগে মুক্তিযোদ্ধা কোটা অন্তর্ভুক্তির লিগ্যাল নোটিশ

dudok-png-3-20221019200646.webp

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক…
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সহকারী শিক্ষক’ পদে সর্বশেষ প্রকাশিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে রাখা হয়নি ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা’। ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী- চলতি বছরে কয়েক ধাপে আবেদনকারীদের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। দ্রুতই এ পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হবে বলেও জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

তবে এ নিয়োগ পরীক্ষার ফল প্রকাশের আগেই ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটা’ অন্তর্ভুক্ত করতে সরকারের সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন ‘মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল’র সভাপতি। এতে ‘সহকারী শিক্ষক’ পদে নিয়োগের ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটা অন্তর্ভুক্তি চাওয়া হয়।

একইসঙ্গে অর্থ মন্ত্রণালয়, ভূমি মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পদে নিয়োগের ক্ষেত্রেও মুক্তিযোদ্ধা কোটা অন্তর্ভুক্ত করতে যথাযথ ব্যবস্থাগ্রহণ করতে বলা হয়।

‘মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল’র সভাপতি অহিদুল ইসলামের পক্ষে বুধবার (১৯ অক্টোবর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আনিচুর রহমান এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠান।
লিগ্যাল নোটিশে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের (আইন শাখা) অতিরিক্ত সচিব, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান ও সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিবকে (আইন বাজেট ও প্রশিক্ষণ) বিবাদী করা হয়।

মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সভাপতি অহিদুল ইসলাম ও তার আইনজীবী আনিচুর রহমান জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নোটিশ পাওয়ার তিনদিনের মধ্যে এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে আইনি প্রতিকার চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হবে বলেও জানান আইনজীবী।

২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর ‘জাতীয় বেতন স্কেল-২০১৫’ অনুযায়ী ১৩তম গ্রেডে অস্থায়ীভাবে নিয়োগের জন্য সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সহকারী শিক্ষক’-এর শূন্যপদে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।

প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে ৬০ শতাংশ ‘নারী কোটা’, ২০ শতাংশ ‘পোষ্য কোটা’ এবং ২০ শতাংশ ‘পুরুষ কোটা’ রাখা হয়। তবে মুক্তিযোদ্ধা কোটা রাখা হয়নি।

চলতি বছরের ২২ এপ্রিল প্রথম ধাপে সহকারী শিক্ষক পদে আবেদনকারীদের পরীক্ষা নেওয়া হয়। এরপর দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় ২০ মে এবং তৃতীয় ধাপে ৩ জুন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এ পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন প্রায় ১৩ লাখ প্রার্থী।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top