সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট…
‘নির্ভুল জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন করব, শুদ্ধ তথ্যভাণ্ডার গড়ব’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. জিল্লুর রহমান চৌধুরী।
বিভাগীয় কমিশনার সভায় দিক-নিদের্শনামূলক বক্তব্য রাখেন।
তিনি বলেন, জেলার স্থানীয় সরকার বিভাগ ও জন্মনিবন্ধনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপে সব সমস্যা শেয়ার করবে। এতে সমস্যা এবং সুনির্দিষ্ট বিষয়ের সমাধান সম্পর্কে সবাই জানতে পারবে।
সব ইউনিয়নে জন্মনিবন্ধন ও মৃত্যুনিবন্ধনে গ্রাম পুলিশের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রত্যেকে যার যার স্থানে যদি দায়িত্বশীল হতে পারেন তাহলেই শতভাগ জন্মনিবন্ধন সম্ভব হবে। শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে বিনাখরচে জন্মনিবন্ধন করা যায়। বর্তমানে স্কুলে ভর্তি, টিকা গ্রহণ, ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খোলাসহ ১৮টির বেশি গুরুত্বপূর্ণ সেবা নিতে জন্মসনদ লাগে।
দেশে টিকাদান কার্যক্রমের সফলতার কথা উল্লেখ করে বিভাগীয় কমিশনার আরও বলেন, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন শতভাগ নিশ্চিত করতে টিকাদানকর্মীদের কাজে লাগানো যেতে পারে। সকলের সম্মিলিত চেষ্টায় আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে খুলনা বিভাগে জন্মনিবন্ধনে আশাব্যঞ্জক সাফল্য অর্জিত হবে।
খুলনার জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মো. শহিদুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. সুজাত আহমেদ, প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম নজরুল ইসলাম ও সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ফারুক আহমেদ।
মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক মো. ইউসুপ আলী। বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসন এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সভায় বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউডিসি’র উদ্যোক্তা ও শিক্ষকরা অংশ নেন।
দিবসটি উপলক্ষে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের ত্রৈমাসিক অর্জনের জন্য খুলনা জেলার সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের মাঝে সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেন বিভাগীয় কমিশনার।