বিদেশিরা এখন আমাদের সঙ্গে ভেবেচিন্তে কথা বলেন: ভূমিমন্ত্রী

1659535837.received_781333239556470.jpg

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট….
পটুয়াখালী: ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, বিদেশিরা এখন আমাদের সঙ্গে কথা বললে ভেবেচিন্তে বলেন। আগে আমরা বিদেশিদের কাছে হাত পেতে বসে থাকতাম, কখন ভিক্ষার টাকা এনে এদেশের উন্নয়ন কাজ করব।
কিন্তু আজ আমরা সেখানে নেই। আজ আমরা অনেক শক্ত অবস্থানে চলে গেছি।
তিনি বলেন, অথচ তারপরও বিরোধী দল বসে নেই। একটু কিছু হলেই তারা বলেন, এ দেশ শ্রীলঙ্কা হয়ে যাবে। বিরোধী দল যা-ই বলুক, এ দেশ শ্রীলঙ্কা হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। কারণ, আমাদের রিজার্ভ এবং আমাদের অবস্থান অনেক শক্তিশালী। আমাদের আয় হচ্ছে এবং আমাদের রিজার্ভ আছে ছয় মাসের। আমরা দুর্বল অবস্থানে নেই, আমাদের ভিত অনেক মজবুত।
বুধবার (৩ আগস্ট) দুপুরে পটুয়াখালীর ডিসি স্কোয়ারে বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ডিজিটাল ভূমি জরিপের পাইলট প্রকল্পের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ভূমিমন্ত্রী আরও বলেন, শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে তার পিতার সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন আজ বাস্তবায়ন হচ্ছে। বাংলাদেশ আজ এমন একটা জায়গায় দাঁড়িয়েছে, ইনশাল্লাহ বাংলাদেশকে আর কখনও পেছনের দিকে ফিরে তাকাতে হবে না। আমাদের যেতে হবে বহুদূর এবং আমরা অনেক দূর চলেও এসেছি। বিগত দিনের সরকারের আমলে ঢাকা কিংবা কিছু অঞ্চল কেন্দ্রিক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু আমাদের এ সরকারের আমলে সব জায়গায় সমানতালে উন্নয়ন হয়েছে এবং হচ্ছে।
স্বপ্নের পদ্মা সেতুর কারণে এ অঞ্চলের ভাগ্যের অনেক পরিবর্তন হয়েছে এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক সহজ ও সুন্দর হয়ে গেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছিল। কোনো ষড়যন্ত্রই পদ্মা সেতু নির্মাণ ঠেকাতে পারেনি। এ কারণে পদ্মা সেতু নির্মাণ ছিল এ সরকারের একটা বড় চ্যালেঞ্জ এবং সে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে নিজস্ব অর্থায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদ্মা সেতু নির্মাণ করেছেন।
ভূমি জরিপ নিয়ে দেশের মানুষের মধ্যে একটা খারাপ ধারণা ছিল। সেটা হলো- ‘যে জায়গায় হয় জরিপ, সেই জায়গার মানুষ হয় গরিব। ’ নানা সমস্যার কারণে এগুলো হতো। এ সমস্যা থেকে উত্তোরণের জন্য বর্তমান সরকার পটুয়াখালী-বরগুনা এলাকায় একটা ডিজিটাল পাইলট প্রকল্প হাতে নিয়েছে। একটা জরিপ শেষ করতে ২০/২৫ বছর সময়ও লেগেছে। তাই ডিজিটাল পাইলট প্রকল্প নেওয়া হয়েছে এবং শতভাগ স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ সম্পন্ন করা যাবে। পটুয়াখালী-বরগুনার এ মডেলটি সফল হলে সারাদেশে এ মডেলটি বাস্তবায়ন করা হবে, যোগ করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর একটিই নির্দেশনা, জনগণকে শান্তি দিতে হবে। জনগণকে কীভাবে আরও সেবা দেওয়া যায়, সেই জায়গাটা আমরা খুঁজছি এবং খুঁজে এ পদ্ধতি বের করেছি। ড্রোনের মাধ্যমে আমরা অনেক কিছু করব। পর্যায়ক্রমে আপনারা তা দেখতে পারেবন এবং বুঝতে পারবেন। যে কোনো উপায়ে আমরা এ মডেলটি বাস্তবায়ন করব ইনশাল্লাহ এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে সারাদেশে এ কাজ সম্পন্ন করা হবে।
পরে দরবার হলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সংসদ সদস্য কাজী কানিজ সুলতানা হেলেন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোয়াজ্জেম হোসে, প্রকল্প পরিচালক এটিএম নাসির মিয়া এবং অতিরিক্ত বিভাগীয় কশিমনার (সার্বিক ও রাজস্ব) মো. ওয়াহেদুর রহমান।

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top