৭৬২ কোটি ডলার সহায়তা, রিজার্ভ কমে সাড়ে ৩৯ বিলিয়ন

dollar-20220802203703.webp

নিজস্ব প্রতিবেদক……
দেশে ডলার সংকট বাড়ছেই। পরিস্থিতি সামাল দিতে রিজার্ভ থেকে ব্যাংকগুলোকে ডলার সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিদায়ী ২০২১-২২ অর্থবছরে ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন অর্থাৎ ৭৬২ কোটি ডলার সাপোর্ট দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
চলতি বছরের জুলাইয়ে ১ দশমিক ৩ বিলিয়ন বা এক হাজার ১৩৬ মিয়িলন ডলার সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাজার পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার সহায়তা অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) ব্যাংকগুলোর কাছে প্রতি ডলার ৯৪ টাকা ৭০ পয়সা দরে বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এদিন ব্যাংকগুলোর কাছে মোট ৭৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা সাত কোটি ৯০ লাখ ডলার বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সোমবার (১ আগস্ট) ৯৪ টাকা ৭০ পয়সা দরে ৫০ মিলিয়ন ডলার ছেড়েছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ৩৯ দশমিক ৫৪ বিলিয়ন ডলারে।

এদিকে, দেশের বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো মঙ্গলবার গ্রাহকের কাছে ডলার বিক্রি করেছে ১০০ টাকার মধ্যে। তবে ১১০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে এক্সচেঞ্জ হাউজে। ফলে খোলাবাজার বা কার্ব মার্কেটে দাম এখনো চড়া।
খোলাবাজারে ডলারের দাম নিয়ন্ত্রণে পরিদর্শন অব্যাহত রেখেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক। ডলার কারসাজি বা অপরাধীদের দৌরাত্ম্য কমাতে বাংলাদেশ ব্যাংক ও জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।

অভিযানে এ পর্যন্ত রাজধানীর বিসমিল্লাহ মানি এক্সচেঞ্জ, অঙ্কন মানি এক্সচেঞ্জ, ফয়েজ মানি এক্সচেঞ্জসহ পাঁচটি এক্সচেঞ্জ হাউজের লাইসেন্স স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া ৪২টি মানি এক্সচেঞ্জকে শোকজ করা হয়েছে।
তারা শোকজের যথাযথ উত্তর দিতে পারলে এসব মানি এক্সচেঞ্জের লাইসেন্সের বিষয়ে বিবেচনা করা হবে। অভিযানে আরও ৯ প্রতিষ্ঠান সিলগালা করা হয়েছে। সিলগালা করা এসব প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স না নিয়ে এতদিন ব্যবসা করে আসছিল।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, বর্তমান গভর্নর দায়িত্ব নেওয়ার পর যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাতে অর্থনীতিতে ইতিবাচক দিক আসছে। ডলার সংকটের কারণে আমদানিতে বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ৩ মিলিয়ন বা ৩০ লাখ ডলারের বেশি আমদানির জন্য এলসি খোলার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি নিতে হবে। এর আগে যেটা ছিল ৫০ লাখ ডলার।
তিনি বলেন, ‘বিলাসী পণ্যে শতভাগ মার্জিনের বিধান রাখা হয়েছে। এসব কারণে গত জুনের তুলনায় জুলাইয়ে আমদানি এলসি কমেছে। একইসময়ে রেমিট্যান্স বেশি এসেছে এবং রপ্তানি বেড়েছে। এসব দিক ডলারের সংকট মোকাবিলায় সহায়ক হবে এবং বাজার স্থিতিশীল হয়ে আসবে।’

Share this post

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

scroll to top